০২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ মানবপাচারকারী আটক কুমিল্লায় তেলে ওজন কম; পেট্রোল পাম্পে অভিযান জরিমানা আদায় মাংস, দুধ ও মিষ্টি একই ফ্রিজে! কুমিল্লায় মোবাইল কোর্টে ৩ লাখ টাকার জরিমানা বুড়িচংয়ে দখলকৃত খাল উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ বুড়িচংয়ে প্রয়াত আইনজীবী সোহাগের মৃত্যুবার্ষিকীকে গাছের চারা বিতরণ কুবিতে “লেবার মাইগ্রেশন ফ্রম বাংলাদেশ: ড্রিম ভার্সেস রিয়েলিটি” বিষয়ক ওয়ার্কশপ মুরাদনগরে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের আহবায়ক কমিটি গঠন বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবসে কুমিল্লায় আলোচনা সভা কুমিল্লার মুরাদনগরে পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু

কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া হত্যা: শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল

  • তারিখ : ০৯:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • 2

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

নগরীর সুজানগর ও পাথুরিয়াপাড়াবাসীর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝাড়ু মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঝাড়ু মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দাবি ছিল, যারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে তাদের যেন এলাকায় কবর দেয়া না হয়। এ ছাড়া মামলার ১ ও ২ নম্বর এজহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাওয়া হয়।

কাউন্সিলর সোহেলের ঘনিষ্ঠজন হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘আমরা চাই মামলার সকল আসামি গ্রেপ্তার হোক। তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’
ঝাড়ু মিছিলে অংশগ্রহণকারী সুজানগর এলাকার খাদিজা বেগম বলেন, ‘এখনো প্রধান আসামি ধরা পড়েনি। আমরা চাই সবাই শাস্তি পাক।’

কাউন্সিলর সোহেলের বড় মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা সিদরাতুল মুনতাহা ছোয়া বলেন, ‘প্রতি রাতে বাবার মাথায় তেল দিয়ে দিতাম। বাবা বলতেন আমরা দুই মেয়ে বাবার চোখের মণি। আজ ৮ দিন হলো বাবা নেই। আমি চাই আমার বাবার হত্যা মামলার মূল আসামিদের শাস্তি হোক।’
কাউন্সিলর সোহেলের ছোট মেয়ে সৈয়দা মিফতাহুল জান্নাত মাহি বলেন, ‘৭ জন আসামি ধরা পড়েছে। যে শাহ আলমের নেতৃত্বে আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে আমরা চাই তাকে গ্রেপ্তার করা হোক।’

নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেলের স্ত্রী রুনা বেগম বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আমার আস্থা আছে। তবে দুইজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে এই খবরেও আমি ও আমার সন্তানরা খুশি হতে পারিনি। মামলার ১ ও ২ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমি চাই তাদের গ্রেপ্তার ও কঠিন বিচার হোক।’

গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১১ জন নামে ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুইজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া হত্যা: শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল

তারিখ : ০৯:৪৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

নগরীর সুজানগর ও পাথুরিয়াপাড়াবাসীর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝাড়ু মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ঝাড়ু মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দাবি ছিল, যারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে তাদের যেন এলাকায় কবর দেয়া না হয়। এ ছাড়া মামলার ১ ও ২ নম্বর এজহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাওয়া হয়।

কাউন্সিলর সোহেলের ঘনিষ্ঠজন হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘আমরা চাই মামলার সকল আসামি গ্রেপ্তার হোক। তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।’
ঝাড়ু মিছিলে অংশগ্রহণকারী সুজানগর এলাকার খাদিজা বেগম বলেন, ‘এখনো প্রধান আসামি ধরা পড়েনি। আমরা চাই সবাই শাস্তি পাক।’

কাউন্সিলর সোহেলের বড় মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈয়দা সিদরাতুল মুনতাহা ছোয়া বলেন, ‘প্রতি রাতে বাবার মাথায় তেল দিয়ে দিতাম। বাবা বলতেন আমরা দুই মেয়ে বাবার চোখের মণি। আজ ৮ দিন হলো বাবা নেই। আমি চাই আমার বাবার হত্যা মামলার মূল আসামিদের শাস্তি হোক।’
কাউন্সিলর সোহেলের ছোট মেয়ে সৈয়দা মিফতাহুল জান্নাত মাহি বলেন, ‘৭ জন আসামি ধরা পড়েছে। যে শাহ আলমের নেতৃত্বে আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে আমরা চাই তাকে গ্রেপ্তার করা হোক।’

নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেলের স্ত্রী রুনা বেগম বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আমার আস্থা আছে। তবে দুইজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে এই খবরেও আমি ও আমার সন্তানরা খুশি হতে পারিনি। মামলার ১ ও ২ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আমি চাই তাদের গ্রেপ্তার ও কঠিন বিচার হোক।’

গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১১ জন নামে ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুইজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।