স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়া মোড়। মোড়ের পাশে সড়ক ও ড্রেন দখন করে ৯টি দোকান তৈরি করেছে মাসুদ তালুকদার। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে কোর্ট কমিশনারসহ ম্যাপ নিয়ে বসবো। সিটি কর্পোরেশন বলছে, অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাসুদের নয়টি দোকান রক্ষায় বাঁকা করে তার তিনতলা বাড়ি রক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ চার ফিট দখল করে ইঁটের দালান তৈরি করেছে। ডক্টস টাওয়ারে পশ্চিম পাশের দোকানে ওয়ার্কসপ ভাড়া দিয়েছে দোকান হিসেবে। ওয়ার্কসপের রড তৈরি ও রড ঝালাইয়ের সকল কাজ ড্রেনের উপর করা হয়।
আরিফা নাজনিন নামের একজন বাসিন্দা জানান, প্রতিদিন সকালে বেলা ছেলেকে নিয়ে এ ড্রেনের উপর দিয়ে মাদরাসা যাই। রেডের জালাই এ আগুণ হয়। সড়কের উপর রডের কাজে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে । আর শিশুরা ভয় পায়।
অভিযোগ উঠেছে, ঢুলিপাড়া চৌমহনী থেকে মেডিকেল রোডের উত্তর পাশের সড়ক ও ড্রেন দখল করা হয়েছে। ড্রেন নির্মাণের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলীকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন মাসুদ তালুকদার। তিনতলা পাশার পাশে তৈরি করেছে ৯টি দোকান। আর ড্রেন দক্ষিণে প্রধান সড়কের পাশে তৈরি করেছে। এ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ ও টাকা বিনিময় ও বণ্টন করেছেন যুবদল নেতা কাউছার। যার বিনিময়ে কাউছার গত চার বছর কোন ভাড়া ছাড়া তিন সাটারের দোকান পেয়েছেন মাসুদ তালুকদার থেকে। বর্তমানে ইলেকট্রিক ও হার্ডওয়্যার দোকান কাউছারের।
অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ তালুকদার বলেন, আমি জানি না। আপনারা তদন্ত করে দেখেন। অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা কাউছারের ব্যক্তিগত ফোনে একাধিক কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ভূঁঞা জানান, টমচমব্রিজ-বালুতুপার এ সড়কটি ১৮ ফিট প্রস্থ। সড়কের উত্তর পাশে ১০ ফিট বক্সড্রেন। কেন কারণছাড়া সড়ক বা ড্রেন বাঁকা হয়না। কোর্ট কমিশনারসহ ম্যাপ নিয়ে বসবো। এ অভিযোগের স্থায়ী সমাধানে যা যা করার। সড়ক বিভাগ তাই করবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবু সায়েম ভূইঁয়া বলেন, ঢুলিপাড়ায় ড্রেন দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করবে দেখবো। অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page