০১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় অনিয়মের অভিযোগে ৪ ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স স্থগিত, এক জনের কারাদণ্ড “যারা পিআর পদ্ধতি চায় না’ তারা দেশের মঙ্গল চায় না” – সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ব্রাহ্মণপাড়ায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হোমনায় পিকআপ ভ্যান থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চালক আটক ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ‘ভুয়া বিএনপি’ বললেন সেলিম ভুঁইয়া অবৈধ অনুপ্রবেশে আটক ৫ বাংলাদেশিকে কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর দুর্ঘটনার পর বড় পদক্ষেপ: কুমিল্লায় সব হোটেলের বাস কাউন্টার অপসারণ; নতুন ইউটার্নের ঘোষণা কুমিল্লার বুড়িচংয়ে লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত কুমিল্লায় কনের বাড়িতে বরকে আটকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অসহায় মানুষের পাশে দুর্বার বাংলাদেশ: প্রজেক্ট স্বাবলম্বী উদ্যোগে রিকশা প্রদান

কুমিল্লায় অনিয়মের অভিযোগে ৪ ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স স্থগিত, এক জনের কারাদণ্ড

  • তারিখ : ০৯:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • 651

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পরিচালিত অভিযানে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স স্থগিত, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং এক দালালকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে। কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ারবক্স, কোথাও নেই অনুমোদিত এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, আবার কোথাও চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছাড়া রোগীর রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল। অনিয়ম ধরা পড়তেই কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হঠাৎ করেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কুচাইতলী সিটি স্ক্যান অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিস, মেডিল্যাব ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফাস্ট কেয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিস্ক্যান ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অনিয়মের কারণে উপশম ডায়াগনস্টিককে ২০ হাজার টাকা এবং হেলথ ভিউ ডায়াগনস্টিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে দালাল নির্মূল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিপন হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা আল আকছার আশা, নওরোজ কোরেশী দীপ্ত এবং কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে জেলায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জেলায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বা অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। হাসপাতাল এলাকায় দালালচক্রও নির্মূল করা হবে।”

জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় অনিয়মের অভিযোগে ৪ ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স স্থগিত, এক জনের কারাদণ্ড

তারিখ : ০৯:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পরিচালিত অভিযানে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স স্থগিত, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং এক দালালকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে। কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ারবক্স, কোথাও নেই অনুমোদিত এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, আবার কোথাও চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছাড়া রোগীর রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল। অনিয়ম ধরা পড়তেই কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হঠাৎ করেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কুচাইতলী সিটি স্ক্যান অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিস, মেডিল্যাব ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফাস্ট কেয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিস্ক্যান ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অনিয়মের কারণে উপশম ডায়াগনস্টিককে ২০ হাজার টাকা এবং হেলথ ভিউ ডায়াগনস্টিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে দালাল নির্মূল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিপন হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা আল আকছার আশা, নওরোজ কোরেশী দীপ্ত এবং কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে জেলায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ডা. রেজা মোহাম্মদ সারোয়ার আকবর বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জেলায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা বা অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। হাসপাতাল এলাকায় দালালচক্রও নির্মূল করা হবে।”

জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতেও এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।