১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
একসাথে চার কবর: ইউটার্নে নিভে গেলো কুমিল্লার এক আলোকিত পরিবার বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন দুই ছেলে, পথে ৪ জনই নিহত কুমিল্লার লালমাইয়ে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৫ বছরের প্রবাসের অর্জন লুট কুমিল্লায় অচেতন করে তরুণীকে ধর্ষণ, সমন্বয়কের বিরুদ্ধে মামলা বাসে শ্লীলতাহানি-ছিনতাইয়ের শিকার কুবি শিক্ষার্থী, দুই অভিযুক্তের কারাদণ্ড কুমিল্লায় সিমেন্টবাহী লরির নিচে প্রাইভেটকার, একই পরিবারের ৪ জন নিহত হোমনায় নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, তদন্তের দাবি কুমিল্লার তরুণ প্রজন্মের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন বুড়িচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কীটনাশক দোকানে জরিমানা কুমিল্লায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত, আহত ৪

কুমিল্লায় ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর দুই ছিনতাইকারীকে ধরলেন ভুক্তভোগী নারী

  • তারিখ : ১০:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • 12

স্টাফ রিপোর্টার।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কানড়া ঈশা খাঁ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দিনদুপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে ওই নারী ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দুজনকে ধরে ফেলেন।

পরে স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে পিটুনিয়ে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে রোববার বেলা ১১টার দিকে। ভুক্তভোগী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, সকালে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় করে উপজেলার শহীদনগরে যাচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে অটোরিকশাটি মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার কানড়া ঈশা খাঁ ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আরেকটি অটোরিকশা তাঁকে বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে।

ইয়াছমিন বলেন, ছিনতাইকারীরা রামদা ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। মুঠোফোনের বিকাশ নম্বরে আরও টাকা ছিল। সেই টাকার জন্য সাহস করে তাৎক্ষণিক ছিনতাইকারীদের পেছন নেন ইয়াছমিন। একপর্যায়ে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কাছে দুই ছিনতাইকারীকে দেখতে পেয়ে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দেন ইয়াছমিন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুজনকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কয়েকজন। খবর পেয়ে সেখান থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশ।

ইয়াছমিন আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী। আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন দাউদকান্দি পৌর সদরের তুজারভাঙ্গা গ্রামের হোসেন মিয়া (২৯) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেড়াতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (১৯)। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, আটক দুই ছিনতাইকারীর পুরো শরীরে পিটুনির চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাতপাড়া গ্রামটি ছিনতাইকারীদের আস্তানা। বিভিন্ন স্থানের খুন–হত্যা মামলার আসামিরা এ গ্রামে স্থায়ীভাবে ভাড়া থাকেন অথবা বিয়ে করে বসবাস করেন। দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস বলেন, মামলা শেষে আটক দুই ছিনতাইকারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

কুমিল্লায় ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর দুই ছিনতাইকারীকে ধরলেন ভুক্তভোগী নারী

তারিখ : ১০:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কানড়া ঈশা খাঁ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দিনদুপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে ওই নারী ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দুজনকে ধরে ফেলেন।

পরে স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে পিটুনিয়ে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে রোববার বেলা ১১টার দিকে। ভুক্তভোগী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, সকালে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় করে উপজেলার শহীদনগরে যাচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে অটোরিকশাটি মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার কানড়া ঈশা খাঁ ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আরেকটি অটোরিকশা তাঁকে বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে।

ইয়াছমিন বলেন, ছিনতাইকারীরা রামদা ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। মুঠোফোনের বিকাশ নম্বরে আরও টাকা ছিল। সেই টাকার জন্য সাহস করে তাৎক্ষণিক ছিনতাইকারীদের পেছন নেন ইয়াছমিন। একপর্যায়ে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কাছে দুই ছিনতাইকারীকে দেখতে পেয়ে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দেন ইয়াছমিন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুজনকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কয়েকজন। খবর পেয়ে সেখান থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশ।

ইয়াছমিন আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী। আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন দাউদকান্দি পৌর সদরের তুজারভাঙ্গা গ্রামের হোসেন মিয়া (২৯) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেড়াতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (১৯)। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, আটক দুই ছিনতাইকারীর পুরো শরীরে পিটুনির চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাতপাড়া গ্রামটি ছিনতাইকারীদের আস্তানা। বিভিন্ন স্থানের খুন–হত্যা মামলার আসামিরা এ গ্রামে স্থায়ীভাবে ভাড়া থাকেন অথবা বিয়ে করে বসবাস করেন। দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস বলেন, মামলা শেষে আটক দুই ছিনতাইকারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।