০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ায় শিশুদের হাতে বাইসাইকেল ও কোরআন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি- এম আউয়াল খান মুরাদনগরে সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান আজ থেকে কুবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে দুইতলা বাস কুমিল্লায় ধর্মীয় উত্তেজনার পর ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন, সেনা টহলও চলছে কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে সীমান্ত থেকে ২৬ লাখ টাকার বাজি আটক চৌদ্দগ্রামে জামমুড়া-জামপুর যুব ও ক্রীড়া সংঘের মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত আজ আড়াইবাড়ী দরবার শরীফ কুমিল্লার বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিল কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে কুকুর লেলিয়ে অমানবিক নির্যাতন, ৩ জন আটক কুমিল্লায় স্বামীর নিষেধে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে না দেওয়ায় স্ত্রীর গলায় ফাঁস

কুমিল্লায় ধর্মীয় উত্তেজনার পর ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন, সেনা টহলও চলছে

  • তারিখ : ০৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 189

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় সাম্প্রতিক ধর্মীয় উত্তেজনার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপজেলার অন্তত ১০টি মাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

নিরাপত্তা জোরদারের এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে গত বুধবার আছাদপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা। পুলিশ জানায়, আছাদপুর গ্রামের ফকির বাড়ির এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশি তৎপরতার মধ্যেও উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে “মুসলিম জনতা” ব্যানারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক নেতারা জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তবুও দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা ওই দিন কফিল উদ্দিন শাহ, কালু শাহ, হাওয়ালী শাহ (বাবুল), এবং আবদু শাহর মাজারে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোনো মাজারে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আছাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালী শাহ, আবদু শাহ এবং পঞ্চবটির সোলেমান শাহসহ মোট ১০টি মাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।”

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মাঝে এখনও কিছুটা উদ্বেগ বিরাজ করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এমন সহিংস ঘটনা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি। তারা দাবি করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা উসকানিমূলক পোস্ট ঠেকাতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্ব এ

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ধর্মীয় উত্তেজনার পর ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন, সেনা টহলও চলছে

তারিখ : ০৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় সাম্প্রতিক ধর্মীয় উত্তেজনার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপজেলার অন্তত ১০টি মাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

নিরাপত্তা জোরদারের এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে গত বুধবার আছাদপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা। পুলিশ জানায়, আছাদপুর গ্রামের ফকির বাড়ির এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশি তৎপরতার মধ্যেও উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে “মুসলিম জনতা” ব্যানারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক নেতারা জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তবুও দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা ওই দিন কফিল উদ্দিন শাহ, কালু শাহ, হাওয়ালী শাহ (বাবুল), এবং আবদু শাহর মাজারে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “কোনো মাজারে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আছাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালী শাহ, আবদু শাহ এবং পঞ্চবটির সোলেমান শাহসহ মোট ১০টি মাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।”

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের মাঝে এখনও কিছুটা উদ্বেগ বিরাজ করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এমন সহিংস ঘটনা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি। তারা দাবি করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা উসকানিমূলক পোস্ট ঠেকাতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্ব এ