নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং এক শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার মধ্যে দাউদকান্দি ও মুরাদনগর উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপর তিন শিশুকেই দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো ১৮ মাস বয়সী রাধিকা রানী দাস ও ৮ বছর বয়সী মো. মুনতাছির। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এক বছর বয়সী তানভীরকে।
ওই শিশুদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের প্রবীর কুমার দাসের স্ত্রী শিউলী রানী দাস সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে শিশুকন্যা রাধিকা রানী দাসকে (দেড় বছর) ঘরে রেখে রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করছিলেন। এ সময় রাধিকা হামাগুড়ি দিয়ে একা খেলতে খেলতে বসতঘরের পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুর থেকে রাধিকাকে উদ্ধার করা হয়। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আকলিমা আক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুরাদনগর উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের হাবিব উল্লাহর দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মো. মুনতাছির (৮) বসতঘরের পাশে একা খেলার সময় হঠাৎ পুকুরে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে মুনতাছিরকে উদ্ধার করা হয়। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আকলিমা আক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ছাদেক মিয়ার এক বছরের ছেলে তানভীর পরিবারের সবার অগোচরে বসতঘরের পাশের ডোবায় পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির পর ডোবা থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তানভীরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তানভীরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে কুমিল্লার লাকসামে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের পৈশাখি গ্রাম এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে- ওই গ্রামের শহীদুল ইসলামের মেয়ে নাবিলা আক্তার মণি (১৪) ও হাফসা আক্তার মিলি (৯)।
এ নিয়ে একই দিনে কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু হলো।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page