স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামে ভন্ড পীরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর কন্যা ২য় শ্রেণির এক ছাত্রী।
গত ২ জুন দুপুরে লিচু দেয়ার প্রলোভনে শিশুটির দাদা ভন্ডপীর ইকবাল হোসেন (৪৫) জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনার পর ৬ জুন শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত ইকবাল মৃত শরাফত আলী মাষ্টারের ছেলে। এছাড়াও ইকবাল নিজেকে পীর দাবী করে এলাকায় কবিরাজী করে আসছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সাইচাপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মনিরুল ইসলামের ৭ বছর বয়সী মেয়ে পাশ্ববর্তী ভন্ডপীর ইকবালের ঘরে খেলতে যায়। এসময় ঘরে অন্য কেউ না থাকায় শিশুটিকে লিচু দেয়ার প্রলোভনে ইকবাল হোসেন শিশুটির পায়ূপথে ধর্ষন করে।
এসময় শিশুটি ব্যথায় দৌড়ে ঘরে এসে মায়ের কাছে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়। শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর বাড়ীর লোকজন মামলা করতে না দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার আস্বাস দিলেও কোন সুরহা না হওয়ায় ৬ জুন শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক ইকবালকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শিশুটির পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপ-পরিচালক (এস আই) মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক ইকবাল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
ইকবারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page