১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা

কুমিল্লায় ভন্ড পীরের হাতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ; ৮ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক

  • তারিখ : ০৭:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
  • 40

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামে ভন্ড পীরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর কন্যা ২য় শ্রেণির এক ছাত্রী।

গত ২ জুন দুপুরে লিচু দেয়ার প্রলোভনে শিশুটির দাদা ভন্ডপীর ইকবাল হোসেন (৪৫) জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনার পর ৬ জুন শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত ইকবাল মৃত শরাফত আলী মাষ্টারের ছেলে। এছাড়াও ইকবাল নিজেকে পীর দাবী করে এলাকায় কবিরাজী করে আসছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সাইচাপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মনিরুল ইসলামের ৭ বছর বয়সী মেয়ে পাশ্ববর্তী ভন্ডপীর ইকবালের ঘরে খেলতে যায়। এসময় ঘরে অন্য কেউ না থাকায় শিশুটিকে লিচু দেয়ার প্রলোভনে ইকবাল হোসেন শিশুটির পায়ূপথে ধর্ষন করে।

এসময় শিশুটি ব্যথায় দৌড়ে ঘরে এসে মায়ের কাছে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়। শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

ঘটনার পর বাড়ীর লোকজন মামলা করতে না দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার আস্বাস দিলেও কোন সুরহা না হওয়ায় ৬ জুন শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক ইকবালকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শিশুটির পরিবার।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপ-পরিচালক (এস আই) মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক ইকবাল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।

ইকবারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ভন্ড পীরের হাতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ; ৮ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক

তারিখ : ০৭:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামে ভন্ড পীরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর কন্যা ২য় শ্রেণির এক ছাত্রী।

গত ২ জুন দুপুরে লিচু দেয়ার প্রলোভনে শিশুটির দাদা ভন্ডপীর ইকবাল হোসেন (৪৫) জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনার পর ৬ জুন শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত ইকবাল মৃত শরাফত আলী মাষ্টারের ছেলে। এছাড়াও ইকবাল নিজেকে পীর দাবী করে এলাকায় কবিরাজী করে আসছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সাইচাপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মনিরুল ইসলামের ৭ বছর বয়সী মেয়ে পাশ্ববর্তী ভন্ডপীর ইকবালের ঘরে খেলতে যায়। এসময় ঘরে অন্য কেউ না থাকায় শিশুটিকে লিচু দেয়ার প্রলোভনে ইকবাল হোসেন শিশুটির পায়ূপথে ধর্ষন করে।

এসময় শিশুটি ব্যথায় দৌড়ে ঘরে এসে মায়ের কাছে ধর্ষনের বিষয়টি জানায়। শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

ঘটনার পর বাড়ীর লোকজন মামলা করতে না দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার আস্বাস দিলেও কোন সুরহা না হওয়ায় ৬ জুন শিশুটির মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক ইকবালকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শিশুটির পরিবার।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপ-পরিচালক (এস আই) মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক ইকবাল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।

ইকবারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।