হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভেতর থেকে ওই ব্যাংকে কর্মরত এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমিকের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। প্রেমিকের বরাতে পুলিশ বলছে, পরিবারের ওপর অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে, ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে নিহত তরুণীর বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
আজ সোমবার ওই তরুণীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা মণিপুর বাজারের ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণীর নাম—সালমা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। সালমা আক্তার ঘাড়মোড়া ইউনিয়নের মণিপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই মো. রমজান আলী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সালমা আক্তার মণিপুর বাজারের ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় চাকরি করতেন। উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়নের মো. শাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার বোন সালমা আক্তারের। গতকাল রোববার প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে প্রেমিকের মোবাইল ফোনে ভিডিও কল দিয়ে ব্যাংকের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ওই তরুণীর প্রেমিক শাকিলের বরাত দিয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি প্রেমিক শাকিলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে কলেজছাত্রী সালমার বিয়ের কথা চলছিল। কিন্তু সালমার মা ও ভাবির মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ হতো। সালাম এগুলো পছন্দ করতেন না। রোববার সকালে তাঁর মা ও ভাবির মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় সকালের নাশতা না খেয়ে ব্যাংকে চলে যায় সালমা। বিকেলেও বাড়ি গিয়ে দেখে তাদের ঝগড়া থামেনি, ঘরে রান্নাও হয়নি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পরে সালমা আক্তার অভিমান করে তাঁর প্রেমিক শাকিলের মোবাইলে ভিডিও কল দিয়ে ব্যাংকের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে প্রেমিক শাকিল দ্রুত গিয়ে দরজা ভেঙে তাঁর প্রেমিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাঁচাতে না পেরে, শাকিলও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page