০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুড়িচংয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন গ্রেপ্তার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লার হোমনায় পানিতে পড়ে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু কুমিল্লা-৬ আসনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয় সেই আরশাদুলের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে এলেন ব্রাহ্মণপাড়া’র ইউএনও চৌদ্দগ্রামে নির্বাচনে জোটপ্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন কুমিল্লায় রাতের আঁধারে শত শত লাউ গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা কুমিল্লায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন; প্রেমের বিয়ের দুই বছর পর যৌতুকের বলি তানজিনা চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভেকু জব্দ

কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ফ্যান-লাইট ও ফ্রিজের মাসিক বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা!

  • তারিখ : ০৭:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 729

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা কলোনির পশ্চিম গেটে এক সাধারণ পরিবারের হাতে এসেছে অবিশ্বাস্য বিদ্যুৎ বিল। শুধুমাত্র দুটি ফ্যান, দুটি লাইট, একটি ফ্রিজ এবং একটি টেলিভিশন ব্যবহার করেই সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা।

বাড়ির গৃহবধূ তানজিদা আক্তার রিয়া বলেন, “আমরা সাড়ে চার বছর আগে এই দুই কক্ষের বাসা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তখনই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের শাসনগাছা অফিসে লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম। অফিসে বিষয়টি জানানো হলেও প্রতিমাসে সামান্য ৪০–৪৩ টাকার বিল আসত। এটি আমাদের জন্য মোটেও সমস্যার সৃষ্টি করত না।”

তিনি আরও জানান, “সাড়ে চার বছর পর আমাদের বাসা পুনর্নির্মাণ করা হয়। তখনও আমরা শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েছিলাম। আমাদের মিটার কার্ড মিটারে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা আপত্তি জানাই। নতুন করে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ মাত্র কয়েকটি লাইট, দুটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ এবং টেলিভিশনের জন্যই।”

রিয়ার কাছে আগস্ট মাসে মাত্র ১,৪০০ টাকার মতো বিল আসে। কিন্তু ১৪ সেপ্টেম্বর, শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিস থেকে হাতে এসে পৌঁছায় এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকার বিল। রিয়া বলেন, “এটি দেখেই আমরা অবাক। এমন বিল আগে কখনো দেখিনি। আমরা তো মাত্র সাধারণ ব্যবহার করছি। এটা কি কখনো সম্ভব?”

বাড়ির শ্বশুর মনজুর হোসেন অভিযোগ করেন, “আমরা অফিসে বিষয়টি বোঝাতে গেলে কর্মকর্তারা একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না। অথচ আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এই অতিমূল্য খাওয়ানোর জন্য হয়রানির শিকার হচ্ছি।”

কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, “যে মিটার থেকে এই বিল তৈরি হয়েছে, ওই পরিবারের মালিক যদি অফিসে আসেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কীভাবে এই বিল তৈরি হয়েছে, আগের কোনো বিল জমা আছে কি না, সব খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, এমন ‘ভুতুড়ে’ বিলের ঘটনা তাদের জন্য ধাক্কা। সীমিত ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও এমন চরম বিল আরোপের ঘটনা জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ফ্যান-লাইট ও ফ্রিজের মাসিক বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা!

তারিখ : ০৭:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা কলোনির পশ্চিম গেটে এক সাধারণ পরিবারের হাতে এসেছে অবিশ্বাস্য বিদ্যুৎ বিল। শুধুমাত্র দুটি ফ্যান, দুটি লাইট, একটি ফ্রিজ এবং একটি টেলিভিশন ব্যবহার করেই সেপ্টেম্বর মাসে তাদের বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকা।

বাড়ির গৃহবধূ তানজিদা আক্তার রিয়া বলেন, “আমরা সাড়ে চার বছর আগে এই দুই কক্ষের বাসা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তখনই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের শাসনগাছা অফিসে লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম। অফিসে বিষয়টি জানানো হলেও প্রতিমাসে সামান্য ৪০–৪৩ টাকার বিল আসত। এটি আমাদের জন্য মোটেও সমস্যার সৃষ্টি করত না।”

তিনি আরও জানান, “সাড়ে চার বছর পর আমাদের বাসা পুনর্নির্মাণ করা হয়। তখনও আমরা শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েছিলাম। আমাদের মিটার কার্ড মিটারে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা আপত্তি জানাই। নতুন করে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ মাত্র কয়েকটি লাইট, দুটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ এবং টেলিভিশনের জন্যই।”

রিয়ার কাছে আগস্ট মাসে মাত্র ১,৪০০ টাকার মতো বিল আসে। কিন্তু ১৪ সেপ্টেম্বর, শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিস থেকে হাতে এসে পৌঁছায় এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকার বিল। রিয়া বলেন, “এটি দেখেই আমরা অবাক। এমন বিল আগে কখনো দেখিনি। আমরা তো মাত্র সাধারণ ব্যবহার করছি। এটা কি কখনো সম্ভব?”

বাড়ির শ্বশুর মনজুর হোসেন অভিযোগ করেন, “আমরা অফিসে বিষয়টি বোঝাতে গেলে কর্মকর্তারা একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না। অথচ আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এই অতিমূল্য খাওয়ানোর জন্য হয়রানির শিকার হচ্ছি।”

কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, “যে মিটার থেকে এই বিল তৈরি হয়েছে, ওই পরিবারের মালিক যদি অফিসে আসেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কীভাবে এই বিল তৈরি হয়েছে, আগের কোনো বিল জমা আছে কি না, সব খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, এমন ‘ভুতুড়ে’ বিলের ঘটনা তাদের জন্য ধাক্কা। সীমিত ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও এমন চরম বিল আরোপের ঘটনা জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।