০৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় প্রেমের বিয়ের সাত মাস পর স্ত্রীর পরকীয়ায় যুবকের আত্মহত্যা বুড়িচংয়ে টাস্কফোর্স অভিযানে ২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ঢাকনাবিহীন খাবার ঘিরে উড়ছিল মাছি, রেস্টুরেন্টকে জরিমানা কুমিল্লায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার, ছেলে ও তাঁর স্ত্রী আটক হাবিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর ইন্তিকালে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শোক প্রকাশ মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে তিন দোকানীকে জরিমানা কুমিল্লায় ঘুষ–তদবির ছাড়াই নিয়োগ পেলেন ৪৭ কনস্টেবল কুমিল্লায় কারাগারে সাক্ষাতে গিয়ে গাঁজাসহ ধরা, এক মাসের জেল, ২০ টাকা জরিমানা কুমিল্লায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন অংকনশালার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

কুমিল্লায় দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

  • তারিখ : ১১:২০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • 1525

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদ্রাসার ২ জন শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক’কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার ২৮ আগস্ট রাত ৯ টায় বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কংশনগর বাজার মারকাযুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসার বর্ডিং থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করে স্থানীয়রা।

পরে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত দশটায় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল (৩০), সে পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার বাঙ্গরি গ্রামের মৃত অহিদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার এক শিশুর পিতা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক। মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে শিক্ষার্থীদের নাজেরা বিভাগের পড়াশোনা করাতো।

গত ২৫ আগস্ট রাত রাত ১১ টায় মাদ্রাসার সকল ছাত্ররা ঘুমিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক ১১ বছরের দুই শিশু শিক্ষার্থীকে ডেকে অফিসকক্ষে নিয়ে আসে। এ সময় তার শরীরে মালিশ করে দেওয়ার কথা বলে। পরে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরেই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে আসছিল। এর মধ্যে একটি শিশু অসুস্থ হয়ে বাড়িতে গেলে তার বাবার কাছে বিষয়টি বলে।

পরে ওই শিশুর অভিভাবক স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে মাদ্রাসায় এসে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করে। এ সময় মাদ্রাসায় থাকা আরও দুজন শিশু তাদেরকেও বলাৎকার করা হয়েছে বলে সবার সামনে প্রকাশ করে। পরে স্থানীয় লোকজন শিক্ষককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। গ্রামবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগে দেবিদ্বার থানায় মামলা রয়েছে। নিজের চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।

এ ঘটনার পর মাদ্রাসার আবাসিক সব শিক্ষার্থীকে তাদের পরিবার নিয়ে গেছে। তবে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুড়িচং থানার ওসি আরো জানান, অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় আগেও একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। আজ শুক্রবার কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে জানিয়েছে তিনি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

তারিখ : ১১:২০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদ্রাসার ২ জন শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক’কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার ২৮ আগস্ট রাত ৯ টায় বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কংশনগর বাজার মারকাযুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসার বর্ডিং থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করে স্থানীয়রা।

পরে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত দশটায় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল (৩০), সে পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার বাঙ্গরি গ্রামের মৃত অহিদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার এক শিশুর পিতা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক। মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে শিক্ষার্থীদের নাজেরা বিভাগের পড়াশোনা করাতো।

গত ২৫ আগস্ট রাত রাত ১১ টায় মাদ্রাসার সকল ছাত্ররা ঘুমিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক ১১ বছরের দুই শিশু শিক্ষার্থীকে ডেকে অফিসকক্ষে নিয়ে আসে। এ সময় তার শরীরে মালিশ করে দেওয়ার কথা বলে। পরে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরেই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে আসছিল। এর মধ্যে একটি শিশু অসুস্থ হয়ে বাড়িতে গেলে তার বাবার কাছে বিষয়টি বলে।

পরে ওই শিশুর অভিভাবক স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে মাদ্রাসায় এসে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করে। এ সময় মাদ্রাসায় থাকা আরও দুজন শিশু তাদেরকেও বলাৎকার করা হয়েছে বলে সবার সামনে প্রকাশ করে। পরে স্থানীয় লোকজন শিক্ষককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। গ্রামবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগে দেবিদ্বার থানায় মামলা রয়েছে। নিজের চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।

এ ঘটনার পর মাদ্রাসার আবাসিক সব শিক্ষার্থীকে তাদের পরিবার নিয়ে গেছে। তবে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুড়িচং থানার ওসি আরো জানান, অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় আগেও একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। আজ শুক্রবার কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে জানিয়েছে তিনি।