১২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা

  • তারিখ : ১১:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • 13

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে সালমান (১৬) নামের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত সালমান এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়তো।

শনিবার বিকেলে এলাহাবাদ গ্রামের চান মিয়া খলিফার বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহত সালমান এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস মিয়ার ছেলে এবং এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, সালমান বেশ কিছুদিন ধরে মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য দরিদ্র বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে আসছিল। পরে বাবা মা তাকে কিছুদিন পর কিনে দিবেন বলেন জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু সালমান অপেক্ষা না করেই গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

সালমানের বাবা মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার ছেলে বেশ কয়েকদিন ধরে মোটরসাইকেল কিনে দিতে আমাদেরকে আবদার করে অসছিল। আমরা তাকে বলছিলাম হাতে টাকা হলে কয়েকদিন পর কিনে দেব। এতেই সালমান আমাদের অজান্তে ঘরের সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা বুঝতেও পারিনি সে আত্মহত্যা করবে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খাদেমুল বাহার বিন আবেদ রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, বাইক কিনে না দেওয়ায় অভিমানে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যার খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। অপমৃত্যর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়ানাতদন্ত শেষে নিহতেদের লাশ রোববার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা

তারিখ : ১১:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে সালমান (১৬) নামের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত সালমান এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়তো।

শনিবার বিকেলে এলাহাবাদ গ্রামের চান মিয়া খলিফার বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহত সালমান এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস মিয়ার ছেলে এবং এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, সালমান বেশ কিছুদিন ধরে মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য দরিদ্র বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে আসছিল। পরে বাবা মা তাকে কিছুদিন পর কিনে দিবেন বলেন জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু সালমান অপেক্ষা না করেই গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

সালমানের বাবা মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার ছেলে বেশ কয়েকদিন ধরে মোটরসাইকেল কিনে দিতে আমাদেরকে আবদার করে অসছিল। আমরা তাকে বলছিলাম হাতে টাকা হলে কয়েকদিন পর কিনে দেব। এতেই সালমান আমাদের অজান্তে ঘরের সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা বুঝতেও পারিনি সে আত্মহত্যা করবে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খাদেমুল বাহার বিন আবেদ রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, বাইক কিনে না দেওয়ায় অভিমানে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যার খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। অপমৃত্যর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়ানাতদন্ত শেষে নিহতেদের লাশ রোববার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।