০২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জায়গা দখল ও হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ ৫০ বছরের শিক্ষাজীবনের ইতি: কুমিল্লায় মাদরাসা শিক্ষকের অশ্রুসিক্ত বিদায় কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ যুবদল কর্মী গ্রেফতার কুমিল্লায় বিসিকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, ৭ জন গ্রেফতার বুড়িচংয়ের মোকাম ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন লাকসামে মরহুম মৌলভী মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অবশেষে বন্ধ হলো পদুয়ার বাজার ইউটার্ন; হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দাউদকান্দিতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য; দশ মামলার আসামী সোহাগ গ্রেপ্তার কুমিল্লায় ‘আল-বারাকা’ বাসের চাপায় ‘পাপিয়া’ বাসের হেলপার নিহত

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাঁশি বাদক মনির নিহত

  • তারিখ : ১২:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
  • 8

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনির হোসেন এক বাঁশি বাদক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর চারটায় উপজেলার বিজয়পুরের হরিশ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্যাড বাদক সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

নিহত মনির হোসেন জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

নিহত মনির ও আহত বোরহান দুজনেই সাংস্কৃতির সংগঠন ‘দ্যা কালচারাল ফাউন্ডেশন অব কুমিল্লা’র সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কান্তি দে (কিষাণ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মনিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত বোরহানের বরাতে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে চারটার দিকে তারা লাকসামের একটি অনুষ্ঠানের শেষ করে কুমিল্লা ফিরছিল। যখন হরিশ্চর এলাকায় আসলো পেছন থেকে একটি বাস তা থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় মনির হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বোরহান কি উদ্ধার করে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে সংগঠনের আরেক সদস্য রাসেল দেওয়ান বলেন, তারা লাকসামে চারজন গিয়েছিল দুইটি বাইকে। দুজন সামনে ছিল। মনির ভাই এবং বোরহান পেছনে ছিল। দুর্ঘটনাকবলিত হলে মনির ভাই মারা যায় এবং বোরহানকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আমাদের আজকে সন্ধ্যায় ভৈরবে আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা। যে কারণে আমরা একটি বড় বাস ভাড়া নিয়েছি। এবং মনির ভাই লাকসাম থেকে আসলে ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। আমরা সবাই যাচ্ছি কিন্তু মনির ভাইয়া যাচ্ছেন না। তিনি চলে গেলেন পরপাড়ে। আমাদের সবচেয়ে বড় সাহস ছিল মনির ভাই। দারুন বাঁশি বাজাতেন, শো মাতিয়ে রাখতে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং ফাঁড়ির আইসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা একটু আগেই খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ গেছে। তবে কাউকে পায়নি। আমরা খবর নিচ্ছি।

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাঁশি বাদক মনির নিহত

তারিখ : ১২:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনির হোসেন এক বাঁশি বাদক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর চারটায় উপজেলার বিজয়পুরের হরিশ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্যাড বাদক সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

নিহত মনির হোসেন জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

নিহত মনির ও আহত বোরহান দুজনেই সাংস্কৃতির সংগঠন ‘দ্যা কালচারাল ফাউন্ডেশন অব কুমিল্লা’র সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কান্তি দে (কিষাণ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মনিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত বোরহানের বরাতে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে চারটার দিকে তারা লাকসামের একটি অনুষ্ঠানের শেষ করে কুমিল্লা ফিরছিল। যখন হরিশ্চর এলাকায় আসলো পেছন থেকে একটি বাস তা থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় মনির হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বোরহান কি উদ্ধার করে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে সংগঠনের আরেক সদস্য রাসেল দেওয়ান বলেন, তারা লাকসামে চারজন গিয়েছিল দুইটি বাইকে। দুজন সামনে ছিল। মনির ভাই এবং বোরহান পেছনে ছিল। দুর্ঘটনাকবলিত হলে মনির ভাই মারা যায় এবং বোরহানকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আমাদের আজকে সন্ধ্যায় ভৈরবে আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা। যে কারণে আমরা একটি বড় বাস ভাড়া নিয়েছি। এবং মনির ভাই লাকসাম থেকে আসলে ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। আমরা সবাই যাচ্ছি কিন্তু মনির ভাইয়া যাচ্ছেন না। তিনি চলে গেলেন পরপাড়ে। আমাদের সবচেয়ে বড় সাহস ছিল মনির ভাই। দারুন বাঁশি বাজাতেন, শো মাতিয়ে রাখতে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং ফাঁড়ির আইসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা একটু আগেই খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ গেছে। তবে কাউকে পায়নি। আমরা খবর নিচ্ছি।