১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপির ৩১ দফা ও কুমিল্লা উন্নয়ন ভাবনা লিফলেট বিতরণ করলেন হাজী ইয়াছিন কুমিল্লায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে নগরীর সকল মসজিদে দোয়া-মিলাদ চৌদ্দগ্রামে মেসার্স মা ব্রিক্স ফের চালু করতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কুমিল্লায় ট্রাকের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু ভুমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়জুন্নেসা হলে ফাটল, খসে পড়েছে আস্তরণ কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার, বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারল না চৌদ্দগ্রামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কুমিল্লা কারাগারে গাঁজাসহ দর্শনার্থীকে আটক, তিন মাসের কারাদণ্ড আমাকে সুযোগ দিন আমি হতাশ করব না- মনিরুল হক চৌধুরী

চৌদ্দগ্রামে মেসার্স মা ব্রিক্স ফের চালু করতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

  • তারিখ : ১০:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • 33

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর বাজার সংলগ্ন ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ ফের চালু হচ্ছে। এতে পূর্বের ন্যায় এলাকার শত শত অসহায় বেকার যুবকের নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সচেতন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকালে ‘মা ব্রিক্স ফিল্ড’ এর অফিস সংলগ্ন মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এলাকার শত শত লোক। এ সময় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ এর স্বত্ত¡াধিকারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে মিলাদ, দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম লতিফি।

একটি মহল অনেকদিন ধরে এ ব্রিক্স ফিল্ডটি বন্ধ রাখার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু এলাকাবাসী প্রাণের দািব আবার যাতে এ ব্রিক্স ফিল্ডটি চালু রাখা হয়। এরই ধারাবাকিতায় শুক্রবার বিকেলে ব্রিক্স ফিল্ডের আশেপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করে। ব্রিক্স ফিল্ডের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বসন্তপুর, কাতালিয়া, ভল্লবপুর, মনিকাকান্তপুর ও লক্ষীপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. ইসমাইল হাজারী, মো. মাসুদুল আলম, এডভোকেট মাস্টার মো. স্বপন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. সালেহ আহমদ, পাশ^বর্তী মাদরাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতোয়াল্লী মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. বাচ্চু মিয়া, জহিরুল ইসলাম, সালেহ আহমদ, আহসান উল্লাহ, জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ইদ্রিস মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মাস্টার মনির, রমজান আলী, হুমায়ুন কবির, জামাল হোসেন, আব্দুর রশিদ, হারুন মিয়া, ছালামত উল্লাহ, আসলাম মিয়া, রবিউল হোসেন, নূর ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রিপন মিয়া, মো. সেলিম, আলমগীর হোসেন, কবির হোসেন, ইকবাল হোসেন, উত্তম কুমার, দুলাল চন্দ্র শীল, গণেশ রায় সহ এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ এর কর্ণধার মো. খোরশেদ আলম অত্যন্ত সফল একজন ব্যবসায়ী। তিনি এলাকার গর্ব। একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে গত বছর হঠাৎ করেই ফিল্ডের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মালিকপক্ষের প্রচেষ্টায় আইনী সকল জটিলতার অবসানের মাধ্যমে এবং আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ফের চালু হচ্ছে এ ফিল্ডটি। এতে এলাকার অসহায় ও বেকার যুবকদের নতুন করে কর্মসংস্থানের সু-ব্যবস্থা হবে। যারফলে এলাকার সাধারণ মানুষ এতে সন্তোষ প্রকাশ করছে। ফিল্ডটি চালু হওয়ায় বসন্তপুর বাজারটিও আগের মতই আবার চাঙা হয়ে উঠবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা গত দুই বছর যাবৎ বেচাকেনা না হওয়ায় খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেছে। ফিল্ড চালু হওয়ার খবরে তাদের মাঝেও আনন্দ বিরাজ করছে।

তারা আরও বলেন, এ ফিল্ডটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০০২ সালে। এত বছর এলাকার কেউই বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। বরং এ ফিল্ডের মাধ্যমে এলাকার অনেক যুবক ও বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল। যারা এখানে কাজ করে নিজেদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করছিল। অথচ হঠাৎ করে এক বছরের জন্য ফিল্ডটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানে কাজ করা শ্রমিকরা বেশ কষ্ট ভোগ করেছে। ফিল্ডটি আবার চালু হওয়ায় তাদেরও আজ আনন্দের সীমা নেই। ইতিমধ্যে অনেকেই এখানে কাজ শুরু করেছেন। ফিল্ডের মালিকও শ্রমিকদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি একজন উদার মনের মানুষ। আশেপাশের মসজিদ, মক্তব্য, মাদরাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তার কাছে কোনো সহায়তা চেয়ে পাননি এমন নজির নেই বললেই চলে। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে ফিল্ড মালিক খোরশেদ আলমের অসামান্য অবদান রয়েছে। এলাকাবাসীও তাই উনার প্রতি বেশ কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ এর মালিক মো. খোরশেদ আলম বলেন, অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্রিক্স ফিল্ডটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেউ বলতে পারবে না কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে। বরং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা আমার ক্ষতিসাধনে পেছনে লেগেছে। আইনী জটিলতায় ফিল্ডটি এক বছর বন্ধ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, সকল আইনী জটিলতা কাটিয়ে আদালতের নির্দেশে আজ মিলাদ, দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও ফিল্ডের সকল কার্যক্রম শুরু হল। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইট প্রস্তুত কাজ সহ ফিল্ডের সার্বিক কাজ শুরু করতে পেরে আমি খুশি। এজন্য সচেতন এলাকাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আজ অপপ্রচারকারীদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে।

error: Content is protected !!

চৌদ্দগ্রামে মেসার্স মা ব্রিক্স ফের চালু করতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

তারিখ : ১০:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর বাজার সংলগ্ন ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ ফের চালু হচ্ছে। এতে পূর্বের ন্যায় এলাকার শত শত অসহায় বেকার যুবকের নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সচেতন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকালে ‘মা ব্রিক্স ফিল্ড’ এর অফিস সংলগ্ন মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মুনাজাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এলাকার শত শত লোক। এ সময় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ এর স্বত্ত¡াধিকারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে মিলাদ, দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম লতিফি।

একটি মহল অনেকদিন ধরে এ ব্রিক্স ফিল্ডটি বন্ধ রাখার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু এলাকাবাসী প্রাণের দািব আবার যাতে এ ব্রিক্স ফিল্ডটি চালু রাখা হয়। এরই ধারাবাকিতায় শুক্রবার বিকেলে ব্রিক্স ফিল্ডের আশেপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করে। ব্রিক্স ফিল্ডের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বসন্তপুর, কাতালিয়া, ভল্লবপুর, মনিকাকান্তপুর ও লক্ষীপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. ইসমাইল হাজারী, মো. মাসুদুল আলম, এডভোকেট মাস্টার মো. স্বপন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. সালেহ আহমদ, পাশ^বর্তী মাদরাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতোয়াল্লী মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. বাচ্চু মিয়া, জহিরুল ইসলাম, সালেহ আহমদ, আহসান উল্লাহ, জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ইদ্রিস মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মাস্টার মনির, রমজান আলী, হুমায়ুন কবির, জামাল হোসেন, আব্দুর রশিদ, হারুন মিয়া, ছালামত উল্লাহ, আসলাম মিয়া, রবিউল হোসেন, নূর ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রিপন মিয়া, মো. সেলিম, আলমগীর হোসেন, কবির হোসেন, ইকবাল হোসেন, উত্তম কুমার, দুলাল চন্দ্র শীল, গণেশ রায় সহ এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ এর কর্ণধার মো. খোরশেদ আলম অত্যন্ত সফল একজন ব্যবসায়ী। তিনি এলাকার গর্ব। একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে গত বছর হঠাৎ করেই ফিল্ডের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মালিকপক্ষের প্রচেষ্টায় আইনী সকল জটিলতার অবসানের মাধ্যমে এবং আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ফের চালু হচ্ছে এ ফিল্ডটি। এতে এলাকার অসহায় ও বেকার যুবকদের নতুন করে কর্মসংস্থানের সু-ব্যবস্থা হবে। যারফলে এলাকার সাধারণ মানুষ এতে সন্তোষ প্রকাশ করছে। ফিল্ডটি চালু হওয়ায় বসন্তপুর বাজারটিও আগের মতই আবার চাঙা হয়ে উঠবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা গত দুই বছর যাবৎ বেচাকেনা না হওয়ায় খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেছে। ফিল্ড চালু হওয়ার খবরে তাদের মাঝেও আনন্দ বিরাজ করছে।

তারা আরও বলেন, এ ফিল্ডটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০০২ সালে। এত বছর এলাকার কেউই বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। বরং এ ফিল্ডের মাধ্যমে এলাকার অনেক যুবক ও বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল। যারা এখানে কাজ করে নিজেদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করছিল। অথচ হঠাৎ করে এক বছরের জন্য ফিল্ডটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানে কাজ করা শ্রমিকরা বেশ কষ্ট ভোগ করেছে। ফিল্ডটি আবার চালু হওয়ায় তাদেরও আজ আনন্দের সীমা নেই। ইতিমধ্যে অনেকেই এখানে কাজ শুরু করেছেন। ফিল্ডের মালিকও শ্রমিকদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি একজন উদার মনের মানুষ। আশেপাশের মসজিদ, মক্তব্য, মাদরাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তার কাছে কোনো সহায়তা চেয়ে পাননি এমন নজির নেই বললেই চলে। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে ফিল্ড মালিক খোরশেদ আলমের অসামান্য অবদান রয়েছে। এলাকাবাসীও তাই উনার প্রতি বেশ কৃতজ্ঞ।

এ বিষয়ে ‘মেসার্স মা ব্রিক্স’ এর মালিক মো. খোরশেদ আলম বলেন, অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্রিক্স ফিল্ডটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেউ বলতে পারবে না কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে। বরং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা আমার ক্ষতিসাধনে পেছনে লেগেছে। আইনী জটিলতায় ফিল্ডটি এক বছর বন্ধ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, সকল আইনী জটিলতা কাটিয়ে আদালতের নির্দেশে আজ মিলাদ, দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও ফিল্ডের সকল কার্যক্রম শুরু হল। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ইট প্রস্তুত কাজ সহ ফিল্ডের সার্বিক কাজ শুরু করতে পেরে আমি খুশি। এজন্য সচেতন এলাকাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আজ অপপ্রচারকারীদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে।