দাউদকান্দিতে প্রভাবশালীর ঝুকিপূর্ণ গ্যাস বানিজ্য গুড়িয়ে দিলেন এএসপি

রাজিব হোসেন জয়।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি ও চান্দিনায় কাভার্ডভ্যান বোঝাই করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শত শত সিলিন্ডার রেখে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫ টি অবৈধ ও মারাক্তক ঝুকিপূর্ণ ভ্রাম্যমাণ সিএনজি পাম্প বন্ধ করে দিয়েছেন কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( দাউদকান্দি সার্কেল) মো: জুয়েল রানা।

দাউদকান্দির পদুয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুরে ও দৌলতপুরের ইউনিয়নের নায়েরগাও বাজারের কানাচোয়া ২ টি এবং চান্দিনার পৌর এলাকার বাগানবাড়িতে, মহিচাইল ইউনিয়নে ও দোল্লাই নবাবপুর বাজার এলাকায় ৩ টি অবৈধ পাম্প থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো প্রভাবশালীচক্র।

কোনরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় অনুমোদনবিহীন এসব স্টেশনে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, অগ্নিকান্ডসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার প্রবল শঙ্কা বিরাজ করে। যোগদানের মাত্র ২ মাসের মধ্যে এই অসাধ্য কাজ সাধন করেন দাউদকান্দি সার্কেল এএসপি মো: জুয়েল রানা। মঙ্গলবার সর্বশেষ দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরীর সিএনজি পাম্প গুড়িয়ে দিয়ে এই অভিযানের ইতি টানেন। প্রতিটি পাম্প এলাকার প্রভাবশালীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। তবে সার্কেল এএসপি জুয়েল রানার সামনে কেউ বাধা হয়ে দাড়ানোর সাহস করেনি।

একটি খালি জায়গার ওপরে ত্রিপল টানিয়ে মেশিন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিলো। প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রিতে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি সাড়ে ৫ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত এই উপায়ে। প্রতিটি পাম্পে ২টি করে কাভার্ডভ্যান ও একটি গ্যাস সরবরাহের মেশিন থাকতো। প্রতি কাভার্ডভ্যানে অন্তত ১শ গ্যাস সিলিন্ডার থাকে। ওই কাভার্ডভ্যানের গ্যাস সিলিন্ডারের সাথে সিরিজ সংযোগ দিয়ে কন্ট্রোল মেশিনের মাধ্যমে সারি-সারি সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৫১ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয় যেখানে বাজার মূল্য ৪৫-৪৬ টাকা। মহাসড়ক সংলগ্ন কয়েকটি গ্যাস পাম্পের সাথে চুক্তি করে ওই গ্যাস আনা হয়।

জানা যায় যে পাম্প থেকে কাভার্ডভ্যানে করে গ্যাস আনা হয় ওইসব পাম্পগুলোতে মিটার ও রেগুলেটর মেশিনের বাইরের লাইন টেম্পারিং করে বিশেষ কৌশলে কাভার্ডভ্যানে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। যা মূল মিটারের হিসাবে আসে না এবং তা থেকে সরকার সম্পূর্ণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে সিএনজি পাম্পের অসাধু মালিক ও সংশ্লিষ্টরা রাতারাতি কোটি-কোটি টাকা অবৈধভাবে লুটে নিচ্ছেন। আর ওইসব কাভার্ডভ্যানগুলোর গ্যাস অনেকটা কম দামে কিনে এনে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ বনে যাচ্ছেন অসাধু কারবারিরা।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page