
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল ২৩ জুন। এবার করোনা মহামারীতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীমিত পরিসরে উদযাপন করেছে দলটি। তবে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথূবী চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল।
এবারই প্রথম ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন করে প্রবীণ ও ত্যাগী কর্মীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এসময় আবেগ আল্পুত সংবর্ধিত প্রবীণ কর্মীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের জন্ম ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রয়েছে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। যা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরনা যোগাবে।
বুধবার ঝালুয়াপাড়া হাইস্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঁচথুবী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন বাহালুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম জীবন।
সংবর্ধিত প্রবীন আওয়ামী লীগ কর্মীরা হলেন,ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ, কালিকাপুর গ্রামের মুমিন মিয়া,শরিফপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন মজুমদার,মীরপুর গ্রামের আবদুল জলিল,বিষ্ণপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ,গোলবাড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক চৌধুরী,পশ্চিম মাঝিগাছা গ্রামের বাবুল মিয়া,ডুমুরিয়া চান্দপুর গ্রামের সামছুল হক, চানপুর গ্রামের তাহেরুল ইসলাম।
প্রবীন আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংবর্ধনা প্রসঙ্গে ইকবাল হোসেন বাহালুল চেয়ারম্যান বলেন,১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী এবং গণ মানুষের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সকল চড়াই-উৎরাই পার করে এ বছরের দলটি পালন করছে ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। যেহেতু রাজনৈতিক সংগ্রাম ও বাংলাদেশ জন্মের চিন্তা থেকে এই দলের প্রতিষ্ঠা সেহেতু আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সরাসরি বাংলাদেশের জন্ম ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে রয়েছে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস।
তাই দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রবীণ কর্মীদের দলের কাছে কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তাদের চাওয়া একটাই বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দেখা। তাদের সম্মানিত করার পাশাপাশি তরুন প্রজন্মেও কাছে দলের জন্য তাদের আত্মত্যাগ তুলে ধরে উজ্জীবিত করা আয়োজনের মুল লক্ষ্য।











