০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় ২৪ হলের কক্ষে বহিরাগত নারী-পুরুষ; শিক্ষার্থীরা বিব্রত কুমিল্লায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডে মৌন মিছিল কুমিল্লায় রেললাইনের পাশে যুবকের মরদেহ; হত্যা নাকি দূর্ঘটনা ! “নিউজটা ডিলেট করা যায় কি?”-ওসি কোতয়ালি কুমিল্লার মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড; প্রশ্নের ভিতরে কিছু প্রশ্ন! কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হালচাষের ট্রাক্টর উল্টে কিশোর নিহত কুমিল্লায় ধর্ষণের বাধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মাকে খুন; মূলহোতা মোবারক গ্রেফতার পাশাপাশি দাফন করা হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেয়ে ও তার মাকে

প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে কুবি শিক্ষকের পাশে এবার সহকর্মীরা

  • তারিখ : ১০:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • 29

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। পরে বাংলা বিভাগের সহকর্মী এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান করেন।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে একক অবস্থান করেন তিনি। পরে তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পাশে দাঁড়ান বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ অবস্থান করেন৷

গত ২৮ শে এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় উপাচার্য কনুই দিয়ে ধাক্কা মারেন এক শিক্ষককে। এবং প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস উল ইসলামকে গালে ঘুষি মারেন।

এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে। এছাড়াও প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে প্রশাসন বরাবর লিখিত চিঠি প্রেরণ করেছিলো মোকাদ্দেস উল ইসলাম। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বিচার না পেয়ে প্রক্টরের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।

প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানের বিষয়ে ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারাই আমাদের রক্ষার বদলে ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তাঁরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। যেখানে শিক্ষকরা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, তিনি এর আগেও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সবার আগে তাঁর অপসারণ করা উচিত এবং তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

error: Content is protected !!

প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে কুবি শিক্ষকের পাশে এবার সহকর্মীরা

তারিখ : ১০:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। পরে বাংলা বিভাগের সহকর্মী এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান করেন।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে একক অবস্থান করেন তিনি। পরে তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পাশে দাঁড়ান বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ অবস্থান করেন৷

গত ২৮ শে এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় উপাচার্য কনুই দিয়ে ধাক্কা মারেন এক শিক্ষককে। এবং প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস উল ইসলামকে গালে ঘুষি মারেন।

এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে। এছাড়াও প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে প্রশাসন বরাবর লিখিত চিঠি প্রেরণ করেছিলো মোকাদ্দেস উল ইসলাম। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বিচার না পেয়ে প্রক্টরের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।

প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানের বিষয়ে ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারাই আমাদের রক্ষার বদলে ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তাঁরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। যেখানে শিক্ষকরা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, তিনি এর আগেও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সবার আগে তাঁর অপসারণ করা উচিত এবং তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।