০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বরুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

  • তারিখ : ০৪:২৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • 32

বরুড়া প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বরুড়ায় ঐতিহাসিক আজ ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুস সাত্তার সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন আজ ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার বরুড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বরুড়া মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে, মুক্ত হয় বরুড়া। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমণে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়।

এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করে। স্থানীয় জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। এসময় আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার যুদ্ধ কালিন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিকভাবে ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আহবান করেন।

error: Content is protected !!

বরুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

তারিখ : ০৪:২৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

বরুড়া প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বরুড়ায় ঐতিহাসিক আজ ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুস সাত্তার সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন আজ ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার বরুড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বরুড়া মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে, মুক্ত হয় বরুড়া। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমণে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়।

এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করে। স্থানীয় জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। এসময় আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার যুদ্ধ কালিন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিকভাবে ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আহবান করেন।