মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
হারিয়ে যাওয়ার দুই দিন পর নিখোঁজ শিশুর লাশ পাওয়া গেলো মাদ্রাসার সেপটি ট্যাংকিতে। নিহত শিশুর নাম মিম আক্তার (৭)। সে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের মোঃ শরীফুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে মীম নিখোঁজ হয়। পরে আজ তারা জানতে পারেন সেফটি ট্যাংকিতে মীমের বস্তাবন্দি লাশ পড়ে আছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে রাখে দূর্বৃত্তরা।
নিহত মীমের বাবা মোঃ শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় সিএনজি চালতি অটোরিকশা চালক। তার এক ছেলে এক মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ীর বাহিরে খেলতে গিয়ে নিঁখোজ হয় তার মেয়ে মীম। পরে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এদিকে সেফটি ট্যাংকিতে মীমের বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান দেয় ওই গ্রামের ছেলে মোঃ কাইয়ুম (১৬)। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে কাইয়ুম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যায়।
আটক কাইয়ুম ওই মাদ্রাসায় দফতরীর কাজ করতো। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা গত ৪০ বছর ধরে এ মাদ্রাসায় দফতরীর কাজ করতেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যায় কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন। পরে বাবা আবদুল মবিনের অনুরোধে পরবর্তী দফতরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫ শ টাকা বেতনে মৌখিক নিয়োগে চাকরী করতো কাইয়ুম।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। আমরা একজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলবো।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page