জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী বাজারে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন।
এসময় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিত থেকে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে “হাসু সুইটস ও রেস্টুরেন্ট” পরিদর্শন করা হয়। রান্নাঘর ও ফ্রিজের স্বাস্থ্যবিধি যাচাইয়ে দেখা যায়, রান্নাঘর অত্যন্ত নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। ফ্রিজে কাঁচা গরুর মাংস, গরুর পায়া, মুরগির গিলা-কলিজা, রান্না করা মাংস, দীর্ঘদিনের ব্লেন্ডারত আদা, মিষ্টি এবং দুধের স্বর একই স্থানে রাখা ছিল।
কোর্টে জব্দকৃত মালামাল হিসেবে কাঁচা গরুর পায়া ২.৮ কেজি, কাঁচা গরুর মাংস ৩ কেজি এবং মুরগির গিলা-কলিজা ৮০০ গ্রাম স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। অপরদিকে, মিষ্টি ৪৯ কেজি এবং দুধের স্বর স্থানীয় ইউপি মেম্বারের তত্ত্বাবধানে পুকুর বা ঘেরে মাছের খাবার হিসেবে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও ইউএনও’র নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
রেস্টুরেন্টের দায়িত্বহীনতার কারণে ভোক্তাদের অর্থ, স্বাস্থ্য ও জীবনহানির ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগে রেস্টুরেন্টের দুইজনকে প্রত্যেককে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করতে বলা হয় এবং তা তৎক্ষণাৎ আদায় করা হয়।
এছাড়া, ৫টি মুদি দোকান পণ্যের মূল্যের তালিকা দৃশ্যমান স্থানে না প্রদর্শন ও ১টি মুদি দোকান পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করার কারণে পৃথকভাবে ৬টি মামলায় ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অভিযানে মোট ৭টি মামলায় ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম মীর হোসেন, গুণবতী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও একজন মেম্বার, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।