১১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: কুমিল্লায় প্রেস সচিব কুমিল্লায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার আহত প্রবাসী সেলিমের দেশে ফেরার টিকিট দিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুরাদনগরে পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচার ব্যবসার অভিযোগে ৬ জন গ্রেপ্তার কুমিল্লায় রেলস্টেশনে টাস্কফোর্স অভিযানে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

  • তারিখ : ০৬:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • 325

মনির হোসাইন।।
কুমিল্লা মুরাদনগরে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে জমানো অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ এলাকাবাসী।

উপজেলার পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাজেল মাদ্রাসা মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক পরমতলা গ্রামের সোবহান মুন্সির ছেলে কালাম মুন্সি, চেরাগ আলীর ছেলে মোসলেম মুন্সি, আব্দুল রহমান মাস্টার মেয়ে মেসমাতুল মাওয়া, রোশমত আলী মুন্সির ছেলে হারুনুর রশিদ মুন্সি, আব্দুল মোনাফ মুন্সির ছেলে আবু তাহের, শামসুল হকের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, আব্দুল কাদের সরকারের ছেলে নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

জানা যায়, গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা। ২০১০ সালে মুরাদনগর উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতি যাত্রা শুরু করে।

এসময় বক্তারা বলেন, প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতিতে মাসিক ডি,পি,এস,এককালিন মুনাফা,পেনশন, ভিত্তিক,মুনাফা সহ দুইগুণ টাকা পাবো বলে ২-৩-৫-১০ বছরের মেয়াদে টাকা আমানত রাখে। দীর্ঘদিন ধরে সমবায় পরিচালক পরমতলা গ্রামের আব্দুল বারিক এর ছেলে এস এ কালাম,আব্দুল্লাহ ছেলে রুহুল আমিন খোকন, নওয়াব আলী সরকারের ছেলে মোসলেম উদ্দিন সরকার, আসমত আলী ভূঁইয়া ছেলে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বশির আহমেদ মাস্টার হুট করে সমিতির কার্যালয় বন্ধ করে পালিয়ে যায়। সমবায় সমিতির নিবন্ধন খুলে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সমিতির পরিচালকরা। আমরাও অত্র সমিতির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে দানিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এ কালাম বলেন, দানিক সমবায় সমিতির কমিটির লোকজন বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলার কারনে এলাকা ছারে। সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা রয়েছে। অনেক গ্রাহককে ইতিমধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error: Content is protected !!

মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

তারিখ : ০৬:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

মনির হোসাইন।।
কুমিল্লা মুরাদনগরে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে জমানো অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ এলাকাবাসী।

উপজেলার পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাজেল মাদ্রাসা মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক পরমতলা গ্রামের সোবহান মুন্সির ছেলে কালাম মুন্সি, চেরাগ আলীর ছেলে মোসলেম মুন্সি, আব্দুল রহমান মাস্টার মেয়ে মেসমাতুল মাওয়া, রোশমত আলী মুন্সির ছেলে হারুনুর রশিদ মুন্সি, আব্দুল মোনাফ মুন্সির ছেলে আবু তাহের, শামসুল হকের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, আব্দুল কাদের সরকারের ছেলে নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

জানা যায়, গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা। ২০১০ সালে মুরাদনগর উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতি যাত্রা শুরু করে।

এসময় বক্তারা বলেন, প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতিতে মাসিক ডি,পি,এস,এককালিন মুনাফা,পেনশন, ভিত্তিক,মুনাফা সহ দুইগুণ টাকা পাবো বলে ২-৩-৫-১০ বছরের মেয়াদে টাকা আমানত রাখে। দীর্ঘদিন ধরে সমবায় পরিচালক পরমতলা গ্রামের আব্দুল বারিক এর ছেলে এস এ কালাম,আব্দুল্লাহ ছেলে রুহুল আমিন খোকন, নওয়াব আলী সরকারের ছেলে মোসলেম উদ্দিন সরকার, আসমত আলী ভূঁইয়া ছেলে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বশির আহমেদ মাস্টার হুট করে সমিতির কার্যালয় বন্ধ করে পালিয়ে যায়। সমবায় সমিতির নিবন্ধন খুলে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সমিতির পরিচালকরা। আমরাও অত্র সমিতির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে দানিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এ কালাম বলেন, দানিক সমবায় সমিতির কমিটির লোকজন বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলার কারনে এলাকা ছারে। সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা রয়েছে। অনেক গ্রাহককে ইতিমধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।