স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসব পদুয়া গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত শিরিন আক্তার (৩০)-এর মরদেহ শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করে লালমাই থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে শিরিনের শিশু সন্তান ইউসুফ কান্না শুরু করলে শাশুড়ি ফিরোজা বেগম ঘরে গিয়ে দেখেন, শিরিন সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে লালমাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
শাশুড়ি ফিরোজা বেগম বলেন, “আমার ছেলে শহীদুল্লাহর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর শিরিনকে বিয়ে করে। কয়েকদিন ধরে সে অসুস্থতার কথা বলছিলো। কয়েকদিন আগে বাপের বাড়ি গিয়েছিল, পরশু আমার বেয়াইন তাকে নিয়ে আসে। আজ সকালে নাতনি সায়মাকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। পরে ইউসুফ কান্না করলে ডেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ছেলেকে জানাই। দরজা ভেঙে দেখি সে ফাঁস দিয়েছে।”
এদিকে নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “২০১৭ সালে শিরিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা হয়নি। এজন্য দীর্ঘদিন সে আমাদের বাড়িতেই ছিল। পরে গ্রাম্য শালিসে স্বামীর বাড়িতে ফেরে। সম্প্রতি সে অসুস্থতার কথা বলেছিল, আমি ওষুধ কিনে দিয়েছিলাম। মা সেদিন শিরিনের সঙ্গে ওই বাড়িতে গিয়েছিল, মা ফেরার পর এই ঘটনা ঘটে। আমার মনে হয় এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, “এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”