এন এ মুরাদ।।
সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভুবনঘর মর্ডান এগ্রোফার্মের কৃষক সামসূল হক। ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে থেকে বীজ সংগ্রহ করে দুই বিঘা পতিত জমিতে সাম্মাম চাষ করে প্রায় চার টন ফল উৎপাদন করেছেন তিনি। এখন শুধু বাজারজাতের অপেক্ষা। ভুবনঘর এগ্রোফার্মের স্বত্বাধিকারী এমপি ইউসুফ হারুন বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সাম্মাম খেয়ে উদ্বোধন করলে বিক্রি শুরু করবেন বলে জানান কৃষক সামসূ।
সাম্মাম সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল। ইতিমধ্যে সাম্মাম এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার জমিতে দুই জাতের সাম্মাম আছে। এর মধ্যে একজাতের সাম্মামের বাইরের অংশ দেখতে খিরার মত খসখসে আর ভেতরে পেপের কালার। আরেক জাত হচ্ছে ফোর থ্রী ফোর(৪৩৪) ,এটি বাইরে সবুজ ভিতরে সাদা । তবে দুটি ফলই খেতে মিষ্টি, রসালো ও সুস্বাদু ।
কৃষক সামসূল হক বলেন, আমার নেতা ইউসুফ আব্দুল্লাহ হরুন এমপি মহোদয়ের অনুপ্রেরণায় আমি এই এগ্রাফার্মের দুই বিঘা জমিতে সাম্মাম চাষ করেছি।
সাম্মাম ফলের তেমন একটা রোগবালাই নেই, গাছে সামান্য সার ও কীটনাশক দিতে হয়। দেড় মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ব হয় সাম্মাম। একেকটি সাম্মাম ফল দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়। প্রতি কেজি সাম্মাম খুচরা দুই থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি করি। কৃষি কাজে আমার কলেজ পড়–য়া ছেলে আমাকে সহায়তা করেন। সকলে মিলে কাজ করি বলেই কাজের শ্রমিক কম লাগে। সাম্মাম ছাড়াও আমার জমিতে স্কোয়াশ, সরিষা, টমেটো ও ধান চাষ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ বলেন, সামসুল হক একজন আদর্শ কৃষক। তিনি সব সময় নতুন নতুন কৃষিপণ্য চাষে আগ্রহী। আমি বেশ কয়েকবার সাম্মাম বাগানসহ তার এগ্রোফার্ম নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। তাকে দেখে তরমুজের মতো এই ফল চাষে আশপাশের অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page