নেকবর হোসেন।।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ,অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার, জেলা উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রশাসন সৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় পদসৃজন, পদসৃজনে জটিলতা কাটানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার (২ অক্টোবর) সারাদেশে একযোগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেছে।
তারই ধারাবিকতায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহ্বানে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ইউনিটের উদ্যোগে বোর্ড প্রাঙ্গনে ক্যাম্পাসে সকাল ৯ টা থেকে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কর্তব্যরত শিক্ষকরা। এসময় কলেজ ইউনিটের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মবিরতি পালনকালে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের,বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ,বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.মোঃ আসাদুজ্জামান, বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো.আজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (হি. নি.) মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানন,উপ- কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) ড.মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপ-সচিব (প্রশাসন) এ,কে,এম, সাহাব উদ্দিন,উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ জাইদুল হক উপ-সচিব (একাডেমিক) মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বক্তব্যে বলেন, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে ১০ বছর যাবত প্রভাষক পদেই রয়েছেন, এ মুহূর্তে এমন পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন ৭ হাজার কর্মকর্তা। সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেই অবসরে যাচ্ছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সহযোগী অধ্যাপক পদে ৬৯০ জনের পদোন্নতি হয়েছে, অথচ এই পদে ৩ হাজারের মতো কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। এসময় বক্তারা আরো বলেন, দাবিগুলো পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page