১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা-৯ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মোঃ শফিকুর রহমান কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে বিএনপির প্রার্থী কামরুল হুদার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত স্বপ্নের বুড়িচংয়ের নেতৃত্বে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস কুবি আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এমসিজে ও সিএসই বিভাগ কুমিল্লায় চালু হলো দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপো, সরবরাহ ৪ জেলায় মুরাদনগরে পুলিশের অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৪ কুবি ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ছাড়িয়েছে ৮০ হাজার, সময় শেষ ৩১ ডিসেম্বর সৌদি আরব পূর্বাঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ইয়াকুব চৌধুরীকে চৌদ্দগ্রামে সংবর্ধনা কুমিল্লার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধাওয়ায় পুকুরে লাফিয়ে পড়ে প্রেমিকের মৃত্যু

কুমিল্লায় মাটিতে পুঁতে থাকা কামানের গোলা উদ্ধার

  • তারিখ : ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • 46

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে একটি কামানের গোলা উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে সেটি ধ্বংস করা হয়। পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোলাটি ধ্বংস করে।

থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকাদীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম নামের এক নারী গতকাল বিকেলে তাঁদের বাড়ির পাশে শুকনা পাতা কুড়াতে গিয়ে মাটিতে পুঁতে থাকা পিতলের তৈরি একটি বস্তু দেখতে পান। এটিকে গুপ্তধন মনে করে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সুফিয়া তাঁর ছেলে মাইন উদ্দিনকে দেখান। এ সময় মাইন উদ্দিন এটিকে বোমা বলে তাৎক্ষণিকভাবে পুকুরে ফেলে দেন।

পরে মাইন উদ্দিন গতকালই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় তারা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। খবর পেয়ে আজ পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাউন্টার টেররিজম পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সারের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পরে তারা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, সেটা অবিস্ফোরিত কামানের গোলা। এটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটি ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরামুল হক, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল হাবি রবিন প্রমুখ।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘এটিকে দেখে আমার মনে হয়েছে গুপ্তধন। তাই এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার ছেলে বলছে এটা বোমা। পরে সেটা পানিতে ফেলে দিয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মোদাচ্ছের কায়সার বলেন, এটি অবিস্ফোরিত কামানের গোলা ছিল। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় মাটিতে পুঁতে থাকা কামানের গোলা উদ্ধার

তারিখ : ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে একটি কামানের গোলা উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে সেটি ধ্বংস করা হয়। পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোলাটি ধ্বংস করে।

থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকাদীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম নামের এক নারী গতকাল বিকেলে তাঁদের বাড়ির পাশে শুকনা পাতা কুড়াতে গিয়ে মাটিতে পুঁতে থাকা পিতলের তৈরি একটি বস্তু দেখতে পান। এটিকে গুপ্তধন মনে করে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সুফিয়া তাঁর ছেলে মাইন উদ্দিনকে দেখান। এ সময় মাইন উদ্দিন এটিকে বোমা বলে তাৎক্ষণিকভাবে পুকুরে ফেলে দেন।

পরে মাইন উদ্দিন গতকালই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় তারা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। খবর পেয়ে আজ পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাউন্টার টেররিজম পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সারের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পরে তারা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, সেটা অবিস্ফোরিত কামানের গোলা। এটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটি ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরামুল হক, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল হাবি রবিন প্রমুখ।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘এটিকে দেখে আমার মনে হয়েছে গুপ্তধন। তাই এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার ছেলে বলছে এটা বোমা। পরে সেটা পানিতে ফেলে দিয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মোদাচ্ছের কায়সার বলেন, এটি অবিস্ফোরিত কামানের গোলা ছিল। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা হয়।