১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা জেলা বইমেলা ২০২৫–এ আবৃত্তি সংসদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহরাস্তিতে বিএনপি’র মিলাদ ও দোয়া কুমিল্লায় মায়ের সামনে এসিল্যান্ডের গাড়িচাপায় দুই বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ১৭তম কুমিল্লা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ৬ দলের জার্সি উন্মোচন জগন্নাথপুরে ঈদে মাজিউন্নবী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে মোস্তফা মাহফিল বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত বুড়িচংয়ে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন ড. মোবারক হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু দাউদকান্দিতে নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • তারিখ : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • 51

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামিকে সাত বছরের সাজা ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার এবং সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন–কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর এলাকার মো. শাহীন মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. আল আমিন ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন– আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমান। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনার আশিক হত্যার মামলার আটজন আসামি মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজন সাত বছরের সাজা ও একজনকে খালাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে দুজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা আসাদপুর এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার কয়েক বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ খালের ডোবায় লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল খালেদ ভূঞা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

তারিখ : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামিকে সাত বছরের সাজা ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার এবং সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন–কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর এলাকার মো. শাহীন মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. আল আমিন ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন– আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমান। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনার আশিক হত্যার মামলার আটজন আসামি মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজন সাত বছরের সাজা ও একজনকে খালাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে দুজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা আসাদপুর এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার কয়েক বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ খালের ডোবায় লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল খালেদ ভূঞা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।