১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার ৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি; ২টি শরিক দলের জন্য ছাড় বুড়িচংয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কুমিল্লায় কবিরাজের কাছে ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মুরাদনগরে বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশু বিদ্যালয়ের এক বছর পূর্তি উদযাপন চৌদ্দগ্রামে উজিরপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মহিলা দলের মতবিনিময় সভা সরকারের জনবান্ধব উদ্যোগ মানুষকে জানাতে হবে -জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায়, কিশোর গ্যাং এর ২৪ সদস্য গ্রেফতার ঢাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কুমিল্লার শিক্ষার্থী জুবায়েদ নিহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের রোবটিক্স ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অভিনব কায়দায় মিশুকের সিটের নিচে মাদক পাচার, র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ১

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • তারিখ : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • 33

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামিকে সাত বছরের সাজা ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার এবং সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন–কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর এলাকার মো. শাহীন মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. আল আমিন ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন– আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমান। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনার আশিক হত্যার মামলার আটজন আসামি মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজন সাত বছরের সাজা ও একজনকে খালাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে দুজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা আসাদপুর এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার কয়েক বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ খালের ডোবায় লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল খালেদ ভূঞা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

তারিখ : ০৮:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামিকে সাত বছরের সাজা ও একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার এবং সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন–কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর এলাকার মো. শাহীন মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. আল আমিন ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাত বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হলেন– আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমান। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার সরকারি কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনার আশিক হত্যার মামলার আটজন আসামি মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজন সাত বছরের সাজা ও একজনকে খালাস দেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে দুজনের বিষয়ে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। এ মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিদের মধ্যে মো. সোহেল মিয়া ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা আসাদপুর এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার কয়েক বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ খালের ডোবায় লুকিয়ে রাখে। পরে এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুল খালেদ ভূঞা বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় নিখোঁজের একটি ডায়েরি করেন। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।