
জহিরুল হক বাবু।।
গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ও ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে কুমিল্লার জেলায় ১০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছেন।
প্রথম ধাপে বন্যা শুরু হওয়ার শুরু থেকে বুধবার ২১শে আগস্ট সকাল থেকে কুমিল্লার পালপাড়া ব্রিজ থেকে টিক্কাচর ব্রিজ বন্যায় আটকে পড়া মানুষদেরকে উদ্ধার এবং তাদের মালামাল নিরাপদে পৌঁছায় দেওয়ার কাজ করেছে স্বপ্নজোড়া।
দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ২২ শে আগস্ট গোমতী নদীর ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের ভিতর দিয়ে গ্রামে পানি ঢোকার কারণে সেইখানে বালুর বস্তা পালিয়ে বাঁধ বন্ধ করেছে স্বপ্ন দেওয়া সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।
তৃতীয় দিন শুক্রবার গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গার পরে ইছাপুর থেকে বুড়িচং সদর পর্যন্ত আটকে পড়া মানুষদেরকে উদ্ধারের কাজ করেছে স্বপ্ন জোড়া, এছাড়াও ২৩ শে আগস্ট বুড়িচং উপজেলার নানুয়ার বাজার এবং এবং তার পামের গ্রামে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার এবং খাওয়ার পৌঁছানো এবং বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেছে স্বপ্নজোড়া।
সোমবার ২৬ শে আগস্ট কুমিল্লা লাকসাম এবং চৌদ্দগ্রাম ২০০ জন পরিবারের মধ্যে খাওয়ার বিতরণ করা হয়েছে।
২৮শে আগস্ট ইছাপুর গ্রাম থেকে একদম বুড়িচং সদর পর্যন্ত রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে স্বপ্ন জোড়া সামাজিক সংগঠন।
এছাড়াও আরো কয়েক দিনের মধ্যে ঔষধ বিতরণ এবং নোয়াখালী ও মনোহরগঞ্জের মধ্যে খাওয়ার পৌঁছাবে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা।
টানা এক সপ্তাহ ধরে স্বপ্ন জোড়া সংগঠনের সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বন্যার্ত মানুষের জন্য।
তাই সকলবে স্বপ্ন জোড়া সংগঠনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।









