কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগুনা

গোলাম কিবরিয়া।।
সারাদেশের ন্যায় আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচন।

গত ২৩ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।

জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশসকরা এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল ঘোষণার পরপরই আলোচনা হতে থাকে কে হচ্ছে কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, একাধিক ব্যাক্তিই দলীয় সমর্থন চাইবেন জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান পদের জন্য।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে চলছে আনাগুনা। এই তালিকায় আছেন বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান ও নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অবঃ) আবু তাহের, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব ওমর ফারুক, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন।

বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম এডভোকেট আফজাল খান এর বড় ছেলে, আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, বরুড়ার সাবেক এমপি আব্দুল হাকিম এর পুত্র, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি কামরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আলহাজ্ব ওমর ফারুক কে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এ সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। ঐ সময় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল অবঃ আবু তাহের দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপনকে হারিয়ে বিজয়ী হন।

আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করে থাকেন।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ অনুযায়ী, নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ইতিমধ্যে পাচ বছর পূর্ন হওয়ায় পুনরায সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের কে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রঙ্গাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page