১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ‘কুমিল্লা মেট্রো রানার্স’ এর টি-শার্ট ও লোগু উম্মোচন বাসে কুবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, মুচলেকা দিয়ে জব্দ বাস ফেরত নিল মালিকপক্ষ সিদলাই শাহজালাল মোল্লা কারিগরি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কুমিল্লায় দোয়া ও ফিতা কেটে ‘ইউনিটি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’-এর অফিস উদ্বোধন বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় সেমিনার আলোচনাসভা ও সম্মাননা প্রদানের মধ্যে দিয়ে কুমিল্লায় জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন কুমিল্লা নামে বিভাগসহ ১০ দফা দাবিতে মুরাদনগরে মানববন্ধন ও সমাবেশ কুমিল্লার দেবিদ্বারে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলঃ ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিভিন্ন সেক্টরের অনিয়ম নির্ভীক চিত্তে তুলে ধরে আজকের জীবন; প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তারা

চৌদ্দগ্রামে গভীর নলকূপ বন্ধ থাকায় ২৮০০ শতক কৃষি জমির বোরো আবাদ ব্যাহত

  • তারিখ : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 151

মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটে গ্রামে বিএডিসি কর্তৃক পরিচালিত একটি গভীর নলকূপ শেয়ার হোল্ডারদের অবহেলায় বন্ধ থাকায় ২৮’শ শতক জমিতে বোরো চাষ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে স্থানীয় ২ শতাধিক কৃষক।

এতে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি দিয়েও কোনো সমাধান না পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন।

বুধবার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দায়েরকৃত স্বারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটে অবস্থিত বিএডিসি কর্তৃক পরিচালিত একটি গভীর নলকূপের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুল মতিন মাস্টার, হাজী রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম যৌথভাবে দািয়ত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্বে ধারাবাহিকতায় এ বছর হাজী রফিকুল ইসলাম নলকূপটি পরিচালনার কথা ছিলো। কিন্তু গত বছর পরিচালনাকারী মাস্টার আব্দুল মতিনের স্বেচ্ছাচারিতা এবং নলকূপ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ট্রান্সফরমার-সরঞ্জামসহ নলকূপ ঘরটি তালাবদ্ধ রাখার কারণে হাজী রফিকুল ইসলাম নলকূপটি চালু করতে পারেননি। এ কারণে এলাকার প্রায় ২ শতাধিক কৃষক-কৃষাণী জমিতে সেচের পানি দিতে না পারায় এখনও বোরো আবাদ করতে পারেনি।

এদিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, বিএডিসি যদি পূণরায় মাস্টার আব্দুল মতিনকে সেচের দায়িত্ব দেয়, তারা কেউ বোরো আবাদ করবে না। স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বিগত দিনে আব্দুল মতিন সেচের কাজ পরিচালনা করার কারণে সঠিক সময়ে পানি না দেয়ায় আমাদের অনেকের ফসল নষ্ট হয়েছে। পানি দেয়ার কথা বললে সে কৃষকদেরকে প্রায় সময়ই হুমকি-ধমকি দিতো। তাঁর নিজের কোনো কৃষি জমি না থাকায় প্রকৃত কৃষকদের দুঃখ সে বুঝে না।

অভিযোগের বিষয়ে মাস্টার আব্দুল মতিন বলেন, অন্যদের সাথে নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করেছি। আমার কাছে কেউ নলকূপটি পরিচালনার জন্য চাবি নিতে আসেনি। বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক হলে আজকালের মধ্যে নলকূপটি চালু হবে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহজালাল বলেন, ‘কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে নলকূপটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া হবে’।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন সরকার বলেন, ‘কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ করে সংযোগ চালুকরণ সহ নলকূপটি চালুর বিষয়ে প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে’।

error: Content is protected !!

চৌদ্দগ্রামে গভীর নলকূপ বন্ধ থাকায় ২৮০০ শতক কৃষি জমির বোরো আবাদ ব্যাহত

তারিখ : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটে গ্রামে বিএডিসি কর্তৃক পরিচালিত একটি গভীর নলকূপ শেয়ার হোল্ডারদের অবহেলায় বন্ধ থাকায় ২৮’শ শতক জমিতে বোরো চাষ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে স্থানীয় ২ শতাধিক কৃষক।

এতে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি দিয়েও কোনো সমাধান না পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন।

বুধবার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দায়েরকৃত স্বারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটে অবস্থিত বিএডিসি কর্তৃক পরিচালিত একটি গভীর নলকূপের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুল মতিন মাস্টার, হাজী রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম যৌথভাবে দািয়ত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্বে ধারাবাহিকতায় এ বছর হাজী রফিকুল ইসলাম নলকূপটি পরিচালনার কথা ছিলো। কিন্তু গত বছর পরিচালনাকারী মাস্টার আব্দুল মতিনের স্বেচ্ছাচারিতা এবং নলকূপ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ট্রান্সফরমার-সরঞ্জামসহ নলকূপ ঘরটি তালাবদ্ধ রাখার কারণে হাজী রফিকুল ইসলাম নলকূপটি চালু করতে পারেননি। এ কারণে এলাকার প্রায় ২ শতাধিক কৃষক-কৃষাণী জমিতে সেচের পানি দিতে না পারায় এখনও বোরো আবাদ করতে পারেনি।

এদিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, বিএডিসি যদি পূণরায় মাস্টার আব্দুল মতিনকে সেচের দায়িত্ব দেয়, তারা কেউ বোরো আবাদ করবে না। স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বিগত দিনে আব্দুল মতিন সেচের কাজ পরিচালনা করার কারণে সঠিক সময়ে পানি না দেয়ায় আমাদের অনেকের ফসল নষ্ট হয়েছে। পানি দেয়ার কথা বললে সে কৃষকদেরকে প্রায় সময়ই হুমকি-ধমকি দিতো। তাঁর নিজের কোনো কৃষি জমি না থাকায় প্রকৃত কৃষকদের দুঃখ সে বুঝে না।

অভিযোগের বিষয়ে মাস্টার আব্দুল মতিন বলেন, অন্যদের সাথে নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করেছি। আমার কাছে কেউ নলকূপটি পরিচালনার জন্য চাবি নিতে আসেনি। বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক হলে আজকালের মধ্যে নলকূপটি চালু হবে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহজালাল বলেন, ‘কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে নলকূপটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া হবে’।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন সরকার বলেন, ‘কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ করে সংযোগ চালুকরণ সহ নলকূপটি চালুর বিষয়ে প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে’।