উপজেলা প্রতিনিধি।।
দাউদকান্দি উপজেলায় সরকারি খাস জায়গায় দোকান বন্দোবস্ত প্রদান বিষয়ে পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝির অবসান সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার( ১৪ জুন) বিকেলে উপজেলা ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’- এ সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন। এছাড়া এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দোকান মালিক সমিতির ব্যবসায়ীসহ ও সুশীল সমাজের লোকজন।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৮ জুন দাউদকান্দি পৌরসভার সরকারি সম্পত্তির উপর নির্মিত দোকান বরাদ্দ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও পূর্বের কিছু দোকানাদার সংবাদ সম্মেলন করে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে।
এর প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ১৪ জুন বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে দুঃখ প্রকাশ করেন,সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের নেতা খুরশিদ আলম।
তিনি সংবাদ সন্মেলনে লিখিত স্মারকলিপিতে বলেন, দাউদকান্দি উপজেলা দিন দাউদকান্দি বাজারে ১৭৩ জয়পুর মৌজার ১ নং খতিয়ানভুক্ত জায়গায় দোকান বরাদ্দ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে বাজারের ব্যবসায়ী ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে দউদকান্দি বাজারের কিছু ব্যবসায়ী এবং কয়েকজন বীর মুক্তিযুদ্ধা ০৮/০৬/২০২২ ইং খ্রিঃ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয় যা খুবই দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত। দাউদকান্দি বাজারে নবনির্মিত ৩২ টি দোকানের জন্য প্রায় ৩৫০টি আবেদনে উপজেলা প্রশাসনের নিকট জমা হয় । এতো অধিক আবেদনকারীর মধ্যে ৩২ জন আবেদনকারী ব্যবসায়ী চিহ্নিত করা খুবই কষ্টকর। এই অসম্ভব কাজকে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে ৩২ জন ব্যবসায়ীকে নির্বাচিত করার ফলে অনেক আবেদনকারী বাদ পড়ে যায়।এতে বাদপড়া ব্যবসায়ীগণ ক্ষুব্ধ হয়ে ০৮/০৬/২০২২ ইং.তারিখে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। প্রকৃতপক্ষে দোকান বরাদ্দ কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি। যথাযথ বিধি-বিধান এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। হয়তো ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমরা পূর্বে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছি তারা সবাই আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সাবেক কমান্ডার খোরশেদ আলম, মুক্তিযুদ্ধা রুহুল আমিন সরকার, মোহাম্মদ মজনু মিয়া ,আব্দুল ওয়াদুদ ও আবুল বাসার প্রমুখ।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page