নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড় পূজামণ্ডপের ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচারকারী ফয়েজ আহমেদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপা ফয়েজের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান গনমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফয়েজ আহমেদ স্বীকার করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন প্রতিনিয়ত স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতেন। ফলে মোবাইলে ভিডিও কল ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার খবর শুনেই সেখানে গিয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন। কিন্তু তার জানা ছিল না, এই লাইভে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরি হবে।’
এ ঘটনায় ফয়েজের সঙ্গে কারও যোগসাজস আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘ফয়েজের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে, প্রযুক্তির সহায়তায় বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে।’
এর আগে, ১৩ অক্টোবর নানুয়ার দিঘির পাড় পূজামণ্ডপের ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক লাইভে প্রচার করায় সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ ফয়েজকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে।
১৬ অক্টোবর পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। সিআইডি ফয়েজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ফয়েজ আহমেদ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page