০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের ১নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

কালীর বাজার জামে মসজিদে এসি আছে নেই বাথরুম; মুসল্লীদের ভোগান্তি চরমে

  • তারিখ : ০৬:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • 41

এইচ.এম.তামীম আহাম্মেদ।।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালীর বাজার ইউনিয়নের প্রাচীনতম কালীর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিতরে আধুনিক (এসি)এর ব্যবস্থা থাকলেও নেই বাথরুম, যার ফলে দূরগামী ও অথিতি মুসল্লীদের ভোগান্তি চরমে।

মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালীর বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এ বাজারে প্রতি সাপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াত। কয়েক শ মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করে এ মসজিদে। বাথরুম না থাকায় আশ পাশের মুসল্লীদের তেমন সমস্যা না হলেও দূরগামী মুসল্লীরা খুব খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হোন। বর্তমানে মসজিদের বাথরুমটি রাস্তার পাশের খালের উপর পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ বছর ধরে পড়ে আছে। অস্থায়ী প্রস্রাবখানা থাকলেও বাথরুম না থাকায় অতিথি মুসল্লী ও দূরগামী মুসল্লীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নামাজ পড়তে আসা অনেক মুসল্লীদের কাপড়ও নস্ট হয়ে গেছে।

গ্রামের ভিতরের পাঞ্জেগানা মসজিদগুলোতে ভালো মানের বাথরুম রয়েছে কিন্তু কালীর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাথরুম না থাকায় সাধারণ মুসল্লীদের অভিযোগের তীর মসজিদ কমিটির দিকে৷

এ বিষয়ে স্থানীয় মুসল্লী মোঃ মীর আহাম্মেদ খান বলেন; মসজিদ কমিটি ও বাজার কমিটিকে একাধিকবার বিষয়টি অবগত করেছি কিন্তু তারা কোন গুরুত্ব দেয়নি রাস্তার পাশে খালের উপরে অস্থায়ী প্রস্রাবখানা করলেও বাথরুম করার যেন নাম গন্ধও নেই। প্রস্রাব করার সময় আমারও কয়েকবার কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।

পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন; আমি মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করছি ৪ বছর। প্রথম দিকে বাথরুম থাকলেও এক বছরের মাথায় বাথরুম খালের পাড় হওয়ায় পার ভেঙ্গে পড়ে যায় বাথরুমটি । এরপর থেকে অনেক মুসল্লী আমাকে কাপড় নস্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে। মসজিদ কমিটিকে এ বিষয়ে জানালে তারা অস্থায়ী বাথরুম করে দিলে এভাবেই তিন বছর যাবত চলছে। তবে অতি দ্রুত বাথরুমের ব্যবস্থা না নিলে দূরগামী মুসল্লীদের বিপদের শেষ থাকবে না। হাজত না সাড়তে পারলে কিভাবে নামাজ পড়বে মুসল্লীরা।

মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ বুরহান উদ্দিন বলেন, মূলত মসজিদের বাথরুম করার জন্য কোন জায়গা নেই। জায়গার ব্যবস্থাও করতে পারছি না। আমার নিজেরও বাথরুম চাপ দিলে বাসায় গেলে, এসে দেখি জামাত শেষ। এ বিষয়টা আসলেই দুঃখজনক। আমরা অতি শীঘ্রই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল বারেক সর্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন; মসজিদের নামে বাথরুম খানার জায়গা নেই। আশ পাশেও পাচ্ছি না। জায়গা পাওয়ার সাথে সাথে অতি দ্রুতই বাথরুমের কাজ ধরব “ইনশাআল্লাহ” তাছাড়াও আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে গত কিছুদিন পূর্বে। এ সাপ্তাহে পরিচিতি সভা হবে। সভায় বাথরুমের বিষয়টি কিভাবে অতি দ্রুত কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব।

error: Content is protected !!

কালীর বাজার জামে মসজিদে এসি আছে নেই বাথরুম; মুসল্লীদের ভোগান্তি চরমে

তারিখ : ০৬:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

এইচ.এম.তামীম আহাম্মেদ।।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালীর বাজার ইউনিয়নের প্রাচীনতম কালীর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিতরে আধুনিক (এসি)এর ব্যবস্থা থাকলেও নেই বাথরুম, যার ফলে দূরগামী ও অথিতি মুসল্লীদের ভোগান্তি চরমে।

মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালীর বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এ বাজারে প্রতি সাপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াত। কয়েক শ মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করে এ মসজিদে। বাথরুম না থাকায় আশ পাশের মুসল্লীদের তেমন সমস্যা না হলেও দূরগামী মুসল্লীরা খুব খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হোন। বর্তমানে মসজিদের বাথরুমটি রাস্তার পাশের খালের উপর পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ বছর ধরে পড়ে আছে। অস্থায়ী প্রস্রাবখানা থাকলেও বাথরুম না থাকায় অতিথি মুসল্লী ও দূরগামী মুসল্লীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নামাজ পড়তে আসা অনেক মুসল্লীদের কাপড়ও নস্ট হয়ে গেছে।

গ্রামের ভিতরের পাঞ্জেগানা মসজিদগুলোতে ভালো মানের বাথরুম রয়েছে কিন্তু কালীর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাথরুম না থাকায় সাধারণ মুসল্লীদের অভিযোগের তীর মসজিদ কমিটির দিকে৷

এ বিষয়ে স্থানীয় মুসল্লী মোঃ মীর আহাম্মেদ খান বলেন; মসজিদ কমিটি ও বাজার কমিটিকে একাধিকবার বিষয়টি অবগত করেছি কিন্তু তারা কোন গুরুত্ব দেয়নি রাস্তার পাশে খালের উপরে অস্থায়ী প্রস্রাবখানা করলেও বাথরুম করার যেন নাম গন্ধও নেই। প্রস্রাব করার সময় আমারও কয়েকবার কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।

পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন; আমি মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করছি ৪ বছর। প্রথম দিকে বাথরুম থাকলেও এক বছরের মাথায় বাথরুম খালের পাড় হওয়ায় পার ভেঙ্গে পড়ে যায় বাথরুমটি । এরপর থেকে অনেক মুসল্লী আমাকে কাপড় নস্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে। মসজিদ কমিটিকে এ বিষয়ে জানালে তারা অস্থায়ী বাথরুম করে দিলে এভাবেই তিন বছর যাবত চলছে। তবে অতি দ্রুত বাথরুমের ব্যবস্থা না নিলে দূরগামী মুসল্লীদের বিপদের শেষ থাকবে না। হাজত না সাড়তে পারলে কিভাবে নামাজ পড়বে মুসল্লীরা।

মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ বুরহান উদ্দিন বলেন, মূলত মসজিদের বাথরুম করার জন্য কোন জায়গা নেই। জায়গার ব্যবস্থাও করতে পারছি না। আমার নিজেরও বাথরুম চাপ দিলে বাসায় গেলে, এসে দেখি জামাত শেষ। এ বিষয়টা আসলেই দুঃখজনক। আমরা অতি শীঘ্রই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল বারেক সর্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন; মসজিদের নামে বাথরুম খানার জায়গা নেই। আশ পাশেও পাচ্ছি না। জায়গা পাওয়ার সাথে সাথে অতি দ্রুতই বাথরুমের কাজ ধরব “ইনশাআল্লাহ” তাছাড়াও আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে গত কিছুদিন পূর্বে। এ সাপ্তাহে পরিচিতি সভা হবে। সভায় বাথরুমের বিষয়টি কিভাবে অতি দ্রুত কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব।