স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দ্বন্দ্বের জেরে হামলার শিকার হোন সংখ্যালঘু পরিমল সরকারের পরিবারের সদস্যরা। বাড়িঘর, প্রতিমা ভাঙচুরসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয় পরিমল সরকারকে৷
শুক্রবার হামলার স্মীকার পরিমল দাসের বাড়ি পরিদর্শনে যান স্থানীয় সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। এসময় বাড়িতে মানুষের ভীড়ে সাংসদের কাছে আসতে ভয় পাচ্ছিলো পরিমল সরকারের ছোট ছেলে অরণ্য সরকার (০৫)। সেই মুহুর্তে সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল শিশু অরণ্যকে বলেন, ‘কিসের ভয়, তোমার চাচ্চু তো এমপি!’ তারপর সাংসদকে কাছে এসে জড়িয়ে ধরে অরণ্য। শিশুটি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সাংসদকে বলে, ‘ওরা (হামলাকারীরা) বলে গেছে বাবাকে মেরে ফেলবে। আমাদের এখানে থাকতে দিবে না৷ আমাদের ঘরটা ভেঙে ফেলছে। আমি ভয় পাইছি, অনেক কান্না করছি’।
অরণ্যের বাবা পরিমল সরকার বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা যখন হামলা করে আমার শিশু ছেলেটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলো৷ ওদের হামলায় শিশুটি ঘরের মধ্যে চিৎকার আর ছুটাছুটি করছিলো। এখনো তার সেই ভয় কাটেনি। সে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠে। আমাদের এমপি আমার বাড়িত আসছে। আমার পরিবারের পাশে থাকবেন বলেছে’।
এসময় কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে অন্যায় ভাবে একটি পরিবারের উপরেও হামলা হতে দিবো না। পরিমলের পরিবার আমার পরিবার। তাদের নিরাপত্তাসহ সকল দায়িত্ব এখন থেকে আমার’।
গত ২০মে শনিবার বিকেলে ফতেবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দাসের চান্দুপুর গ্রামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আক্তারের নেতৃত্বে অর্ধশত দুর্বৃত্ত। এইসময় একটি টিনের আধপাকা ঘর ও ঘরের মধ্যে থাকা প্রতিমা, টিভি, স্যোকেস, ফার্ণিচার ভাঙচুরসহ স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠে।
এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে পরিমল সরকার বাদী হয়ে কুমিল্লা আদালতের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে প্রতিমা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদের ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান (৪০), ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ (৫০), কাজী বিল্লাল (৩২), কাজী হেলাল(৩০), জয়দল হোসেন (৩৮), শাহিন ইসলাম (২৫), জহিরুল ইসলাম (৪৫), দিদারুল আলম ফয়েজ (২৬), গাফফার (৩৫), মামুন (২৬)।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page