কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএ হতে ১০০ নাম্বার মূল্যায়নের বিষয়টি পরিবর্তন হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভা আহ্বান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা যায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলের উপর যে ১০০ নাম্বার রয়েছে সেটি এই কাউন্সিলে পুর্নবিবেচনা করা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে। মার্কস নিয়ে সংশোধনী আসবে। শিক্ষার্থীদের জন্য সহনীয় হয়, এমন একটি মার্কস নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের স্বাক্ষরিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের উপর রাখা ১০০ শতাংশ নাম্বার নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ইয়াসিন আরাফাত নামের ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক সময় মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল আশানুরূপ না হলেও ভর্তি পরীক্ষা ভালো হয়। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করেও জিপিএ এর এই ১০০ নাম্বারের জন্য আমরা ভর্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে পড়বো। আর জিপিএকেই যদি এত গুরুত্ব দেওয়া হলে ভর্তি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি? ভর্তি পরীক্ষা ভালো করলেও জিপিএর জন্য অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তির ক্ষেত্রে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। যার ১০০ নম্বর গুচ্ছ পদ্ধতিতে হওয়া ভর্তি পরীক্ষা থেকে। আর বাকী ১০০ নম্বর বিবেচনা করা হবে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। গুচ্ছ পদ্ধতির আগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর ৫০ শতাংশ নম্বর রাখা হলেও এবার তা বাড়িয়ে ১০০ করা হয়েছে যা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মূল নম্বরের সমান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার উপর এত নাম্বার রাখা নিয়েই বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় মাধ্যমিকের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে অটোপাশ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাধ্যমিকে যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তারাই অটোপাশের মাধ্যমে এবারের উচ্চমাধ্যমিকে এসে সমপরিমাণ ফলাফল অর্জন করেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন মূলত হচ্ছে মাধ্যমিকের নম্বরের উপর ভিত্তি করেই। পরে ভর্তিচ্ছু ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যথেষ্ট রিপোর্টিং আসছে। আমরা সব ডাটা কালেকশন করে এটা রিভিউ করবো। কমিটি সম্ভবত পর্যাপ্ত ডাটা কালেকশন করেনি। অসুবিধা নেই, আমরা অবশ্যই শিক্ষার্থী বান্ধব সিদ্ধান্ত নিবো।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page