স্টাফ রিপোর্টার।।
দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় কুমিল্লা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আশপাশের এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১, সিপিসি-২। চলমান অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এক হাজারেরও বেশি অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
র্যাব-১১ সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি পরিচালিত অভিযানে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৬২ জন অপরাধী, ১৫ জন আরসা সদস্য, একজন জঙ্গি, হত্যা মামলার ১৬১ আসামি, ধর্ষণ মামলার ৭০ আসামি এবং অস্ত্র মামলার ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে ১০১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১,৩৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৬১ জনের বেশি মাদক কারবারি এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক।
অভিযানের অংশ হিসেবে ৬৫ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও ৬৭ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৩ জন ছিনতাইকারী ও ডাকাত, ৩৮ জন জেল পলাতক আসামি এবং ১৬ জন প্রতারককেও আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
অপরাধ দমনের পাশাপাশি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা শহর ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে র্যাব-১১। যাত্রীসেবা ও যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত টহল পরিচালনা, চেকপোস্ট স্থাপন ও যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহনে নিয়মিত তল্লাশিও চলছে।
নাশকতা প্রতিরোধ, অপরাধ রোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিফর্মে টহলদলের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এই বিষয়ে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “আমরা নিরলসভাবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। র্যাবের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিনিয়ত সক্রিয় রয়েছি।”