মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার মেঘনার মাানিকাচর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে ওই ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মেঘনা উপজেলার সানাউল্লাহ ঢালী এবং একই উপজেলার ভল্লবের কান্দি গ্রামের শাওন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) আফজল হোসেন।
তিনি জানান, মেঘনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত শাওন ও সানাউল্লাহর মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে। কাল এদের ময়নাতদন্ত করার পর স্বজনদের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে হতাহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশীদ নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মাানিকাচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নৌকা ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর (আনারস) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে হামলা, সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মেঘনা উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোঘণা করেন। আর সানাউল্লাহ ঢালীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালাহ উদ্দিন মোল্লা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শাওন নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাত লাগায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান ওই চিকিৎসক।
এদিকে, শাওনের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে আসেন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশীদ। এ সময় তিনি নিহত শাওনকে তার কর্মী হিসেবে দাবি করে এ হতাহতের জন্য নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থকদের দায়ী করেন।
আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মফিজ্লু ইসলাম বলেন, বহিরাগতরা কেন্দ্রে হামলা করায় ভোট গ্রহণ প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page