কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ইউসুফ রেজা রফিক (২৪) নামে তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রফিকের চাচা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার ভাতিজা তিতুমীর কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ বাসা থেকে পূবালী ব্যাংকের দাউদকান্দি শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন আরও তিনজন। তাদের কাছ থেকে মোট নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) দুপুর দেড়টার থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বাকি তিনজন হলেন- বনানীর মো. শফিকুল ইসলাম (৪৭), মিরপুরের মো. ফারুক সিকদার (৩৫) ও নারায়ণগঞ্জের আব্দুল মজিদ (৫০)। অচেতন অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বনানীর কাকলি থেকে আসা মো. শফিকুলের ভাই আব্দুস সামাদ বলেন, আমার ভাই একজন কৃষক। ময়মনসিংহের থেকে আট লাখ টাকা নিয়ে ঢাকা আসার পথে বনানীর কাকলি একটি গাড়িতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে কিছু খাইয়ে অচেতন করে টাকা নিয়ে যায়। পড়ে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল নিয়ে স্টোমাক ওয়াশ দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডের ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ছোট দুই ভাই বিদেশে যাবেন। ময়মনসিংহ থেকে আট লাখ টাকা নিয়ে আজ ঢাকার ট্রাভেলস অফিসে জমা দেওয়ার কথা ছিল।
মিরপুর থেকে আসা মো. ফারুক সিকদারের বোন রুমা আক্তার জানান, আমার ভাই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। আজ মিরপুরে আসার পথে বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে। তার কাছ থেকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ৬০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে স্টোমাক ওয়াশ দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে আব্দুল মজিদ আলীকে নিয়ে আসা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা বন্ধন পরিবহনের বাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার কাছে থেকে সবকিছু নিয়ে যায়। পরে গাড়িতে পড়ে থাকলে আমি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরে স্টোমাক ওয়াশ দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি বাসে অস্পষ্টভাবে বলেছিলেন- আমার গ্রামের বাড়ি যশোরে, আমি মাছ ব্যবসায়ী আমাকে একটু হেল্প করেন ভাই। আমি পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চারজন এসেছেন। তাদের কাছ থেকে নগদ নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page