০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার হোমনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক আটক কুমিল্লায় জলাতংক বিস্তার রোধে বিড়াল-কুকুরের বিনামূল্যে চেকাপ ও ভেক্সিন ক্যাম্প চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী; স্মৃতির প্রাঙ্গনে প্রীতির বন্ধনে মিলনমেলা কুমিল্লায় ঢাকাগামী বিএনপির নেতাকর্মীদের বাস দুর্ঘটনা, আহত ৩২ কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুড়িচংয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন গ্রেপ্তার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লার হোমনায় পানিতে পড়ে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু কুমিল্লা-৬ আসনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয় সেই আরশাদুলের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে এলেন ব্রাহ্মণপাড়া’র ইউএনও

কুমিল্লায় আদালতের খাস কামরায় খুন-আসামীর মৃত্যুদন্ড

  • তারিখ : ০৩:১৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১
  • 172

মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লায় আদালতের খাস কামরায় বিচারকের সামনে ফারুক নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় আসামী হাসানের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত মোঃ আতাবুল্লাহ।

বেলা বারোটায় আসামীর সামনেই তিনি এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাসান লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।

জানা যায়, গত ২০১৯ সালে ১৫ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসে মো. ফারুক (৩০) নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাসান উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে।

এজলাসে নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের ওয়াহিদুল্লার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। এছাড়া ঘাতক হাসান লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (এপিপি) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, দুই আসামিই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে খুন হন হাজী আবদুল করিম। এদিন ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিলো। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। প্রানভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যান। পিছু ধাওয়া করে হাসানও সেখানে ঢুকে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়।

এ ঘটনার সময় আদালতের পুলিশ, আইনজীবী ও বিচার প্রাথীরা হাসানকে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় উপস্থিত বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় আদালতের খাস কামরায় খুন-আসামীর মৃত্যুদন্ড

তারিখ : ০৩:১৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লায় আদালতের খাস কামরায় বিচারকের সামনে ফারুক নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় আসামী হাসানের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত মোঃ আতাবুল্লাহ।

বেলা বারোটায় আসামীর সামনেই তিনি এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাসান লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।

জানা যায়, গত ২০১৯ সালে ১৫ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসে মো. ফারুক (৩০) নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাসান উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে।

এজলাসে নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের ওয়াহিদুল্লার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। এছাড়া ঘাতক হাসান লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (এপিপি) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, দুই আসামিই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে খুন হন হাজী আবদুল করিম। এদিন ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিলো। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। প্রানভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যান। পিছু ধাওয়া করে হাসানও সেখানে ঢুকে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়।

এ ঘটনার সময় আদালতের পুলিশ, আইনজীবী ও বিচার প্রাথীরা হাসানকে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় উপস্থিত বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।