তিতাস প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে দাখিল পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে কলেজশিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় হামলা-গ্রেপ্তার ভয়ে ইংরেজি প্রথম বিষয় পরীক্ষায় অংশ নেয়নি চার পরীক্ষার্থী। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ওই চার দাখিল শিক্ষার্থী।
তারা হলো, আবু বক্কর, আবির হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন এবং কলেজশিক্ষার্থী সিয়াম হত্যার ঘটনার মুলহোতা নাজমুল হাসানের প্রেমিকা।
তিতাস উপজেলা আজিজিয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা সুপার ও কেন্দ্র সচিব মালানা আবদুর রব বলেন, ‘মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নয়াগাঁও আলীম মাদ্রাসা থেকে ১১ জন ছেলে এবং ১৪ জন মেয়ে মোট ২৫ জন শিক্ষার্থী আমার কেন্দ্রে দাখিল দিচ্ছে। আজ ইংরেজি প্রথম বিষয়ের পরীক্ষায় ১১ জন ছেলে এবং একজন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি।’
যাকে ঘিরে কলেজ শিক্ষার্থী সিয়াম হত্যার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই পরীক্ষার্থী বাড়িতে আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘর তালাবদ্ধ। এ নিয়ে কথা হয় তার বাবার সঙ্গে। তার বাবা বলেন, হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে পরীক্ষা দিতে যায়নি।
ব্রাহ্মণচর নয়াগাঁও আলীম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. শাজাহান বলেন, আমি সকল পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেন গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা পলাতক রয়েছে, তাই আজকের পরীক্ষায় অংশ নিবে না বলে আমাকে জানিয়েছে।’
মামলার বাদী হেলাল উদ্দিন সরকার সবুজ বলেন, আমি বা আমার আত্মীয়স্বজন কাউকে হুমকি দেয়নি। এ ছাড়াও আমি কাউকে চিনি না তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসামি হয়েছে। তবে আমার ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, কোনো পরীক্ষার্থী আমাদের সহযোগিতা চায়নি। এ ছাড়াও আমরা কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে হয়রানি করছি না।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা গেটের সামনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, আজিজিয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার্থী বের হয়ে সিয়ামের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা সিয়ামকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে রাশেদা আক্তার নামে এক নারী ও স্থানীয় এক সাংবাদিক আহত সিয়ামকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page