নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জেলার বরুড়ার সাহারপদুয়ায় শাশুড়ি ও ননদ কে মারধর করে আহত করেছে এক পুত্রবধু। আহত শাশুড়ি সাফিয়া বেগম (৬৫) বর্তমানে বরুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পুত্রবধু মিনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ননদ হাছিনা বেগম। পুলিশ সরজমিনে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত গৃহবধু মিনোয়ারা বেগমের সাহারপদুয়া গ্রামের প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী। ওই গৃহবধুর বিরদ্ধে এর আগেও বসতভিটার দলিল দিতে অস্বীকার করায় শশুর কে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বরুড়ায় সাহারপদুয়া গ্রামের আলী মিয়ার বাড়ির মৌলভী আবদুল কাদের স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মনির হোসেন সৌদি প্রবাসী। মনির হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৫) সন্তানদের নিয়ে তাদের পৈত্রিক বসত-ভিটায় পৃথক সংসার করছেন। পৈত্রিক বসত ভিটা ও জমির ভাগ বন্টন নিয়ে শশুর আবদুল কাদের ও শাশুড়ী সাফিয়া বেগমের সাথে পারিবারিক ঝগড়া চলে আসছে। পুত্র মনির ও পুত্রবধু পৈত্রিক জমি-জামা ভাগ-বন্টন করে দলিল করে দিতে চাপ দিচ্ছেন অনেক দিন ধরে।
এরই জের ধরে হাঁস হারানোর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার ৯ মে বিকেলে শাশুড়ীর উপর হামলা করেন মিনোয়ারা বেগম। এলোপাথারী কিল-ঘুষি মারিয়া শাশুড়িকে চুলে ধরে টানা হেচড়া করে আহত করেন। তাকে উদ্ধার করতে এসে ননদ হাছিনা বেগমও ভাবীর হামলার শিকার হন। তাদেকে উদ্ধার করে বরুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বাড়ির লোকজন। এর আগে পুত্রবধু মিনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ওই গৃহবধুর বিরদ্ধে গত ৫ ফেব্রয়ারী বাড়ির জায়গা দলিল দিতে অস্বীকার করায় শশুর কে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন শশুর মৌলভী আবদুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরুড়া থানার এসআই উত্তম কুমার জানান, আবদুল কাদেরের বাড়িতে পুত্রবধুদের পাশাপাশি তাঁর মেয়েও থাকেন। তাঁর স্ত্রী,মেয়ে ও পুত্রবধুদের মাঝে পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ রয়েছে। এছাড়া জমি জামার বণ্টন নিয়েও বিরোধ রয়েছে। এসব ঘটনার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনায় নিয়ে সোমবার আবারও ঝগড়া হয়। এসময় পুত্রবধু শাশুড়ি কে মারধর ও চুলে ধরে টানা হেচড়া করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। হাসপাতালে গিয়েও আহতদের দেখে এসেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page