নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর নেতৃত্বে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে অভিনব কৌশল মাদক পাচারের সময় দুটো পিকাপ সহ দুই গ্রেপ্তার এবং পিকাপের পাটাতন কেটে অভিনব কৌশলে তৈরি বিশেষ চেম্বার থেকে অর্ধশত কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সারে ৭টায় জেলা সদরের চানপুর ব্রীজের উত্তরে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া সড়ক থেকে গাঁজা সহ পিকাপগুলো আটক করা হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি জেলার বুড়িচং উপজেলার শঙ্কুচাইল সীমান্ত থেকে বড় একটি গাঁজার চালান ঢাকায় যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর কবির হোসেন, মুরাদ হোসেন সহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অপেক্ষা করে। অতি সুকৌশলে প্রশাসনের চোক ফাকি দিতে সন্ধ্যার পর একটি পিকাপ অন্য একটি পিকাপের সাথে বেঁধে টেনে কুমিল্লার দিকে আসতে থাকে। চানপুর বেইলি ব্রীজের কাছাকাছি এলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা গাড়ি দুটোকে তল্লাশী করে কোন কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে প্রায় ছেড়েই দিচ্ছিলো। এসময় কবির হোসেন ও মুরাদ পেছনের নষ্ট পিকাপটির পাটাতনে নতুন সিট দেখে সন্দেহ করে। গাড়িতে থাকা দুইজন কে চ্যালেঞ্জ করে। পরে স্থানীয় একটি দোকানে এনে পাটাতনের সামন্য সিট কাটলে বেড়িয়ে আসে রহস্য। পরে গাড়িতে থাকা দুই মাদক কারবারি কে আটক করে নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় গ্যারেজে এনে পাটাতন কাটলে বিশেষ ভাবে তৈরি চেম্বার থেকে বেড়িয়ে আসে ৫০ কেজি গাঁজা।
তিনি আরো জানান মাদক পাচার কাজে জড়িত মাদক কারবারিরা হলো, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি সর্দারবাড়ি এলাকার নূর আলমের ছেলে মোঃ রনি আহম্মদ(২৩) এবং একই উপজেলার চানপুর এলাকার আউয়াল মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া মৃত শানু মিয়ার ছেলে মোঃ সেলিম(৩০)।
আটককৃতরা নিয়মিত মাদক কারবারে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদক পাচার করে আসছিলো। মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাক (পিকাপ) দুটো জব্দ করা হয়েছে। এবিষয় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page