নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় স্ত্রীর পরোকিয়া ও প্রতারণা মেনে নিতে না পেরে যুবলীগ নেতার আত্মহত্যার ঘটনার মামলায় নিহত যুবলীগ নেতার স্ত্রীকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন স্ত্রী সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ঊষা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক সোহেল রানা তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন।
এ আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিহত এমরান হোসেন মুন্নার পিতা মতিউল রহমান বাদী হয়ে কোতায়ালী মডেল থানায় মামলা উষা (২৮) বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেন।
উল্লেখ্য কুমিল্লায় শহরতলীর বারপাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মুন্না মেসেঞ্জারে স্ত্রীকে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার দুদিন পর মুন্নার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে দেশজু জুড়ে তোলপাড় চলছে।
মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, ঊষা ঢাকায় সোহেল নামের এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মুন্নাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় সোহেলকে কটাক্ষ করে মরে যেতে বলতেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মুন্না। বাধ্য হয়ে সেই আত্মহত্যা করে ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরতলীর বারপাড়া এলাকার মো. মতিউর রহমানের পুত্র এমরান হোসেন মুন্না ও লাকসামের খিলা বাজার গ্রামের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের কন্যা সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ঊষা কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুজন এক বছরের সিনিয়র-জুনিয়র ছিলেন। কলেজ জীবনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুইজন। দীর্ঘ দিন প্রেমের পর ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের বছর না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। ঊষা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুবাদে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকতেন। মুন্না প্রথমে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে তিনি কুমিল্লাতে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন।
মুন্না আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে স্ত্রী ঊষাকে মেসেঞ্জারে ছবি পাঠান এবং ম্যাসেজ করেন। কিন্তু ঊষা এতে পাত্তা দেননি, কাউকে জানাননি; বরং উল্টো তিনি উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। পরে মুন্না ক্ষোভে শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন আওয়াজ পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page