১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে ড্যাব নেতৃবৃন্দের সভা বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় কুবি শিক্ষক খাঁটি মুমিন হতে আল্লাহর বিধান ও রাসুলের আদর্শে চলার আহ্বান আড়াইবাড়ী পীর সাহেবের কুমিল্লায় ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি, যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩ জন আটক কুমিল্লায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ; দুই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী আহত ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তোহফা গোফরান বহিষ্কার কুবির বিজ্ঞান অনুষদে ৩৪ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি প্রদান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ: ৯ সোনাসহ ২২ পদক জিতলেন কুমিল্লার ১৯ খেলোয়াড় কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ির ট্যাংকে জামাতার লাশ; স্ত্রীসহ চারজনের স্বীকারোক্তি, রহস্য উদঘাটন মুরাদনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা

কুমিল্লায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে নারীর অবস্থান

  • তারিখ : ১১:৪০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
  • 24

তিতাস প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে স্ত্রীর মর্যাদা এবং পাওনা টাকার দাবিতে মারজানা আক্তার লিপি (৩৫) নামে এক নারী কাতারপ্রবাসী আ. লতিফ ভূঁইয়ার (৪৫) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নারী ১৫ লাখ ৩৭ হাজার পাওনা টাকার দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী মারজানা আক্তার লিপি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রসুলপুরের কাঠালিয়া রাজাবাড়ী গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। কাতার প্রবাসী আ. লতিফ ভূঁইয়া উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামের মৃত ধনু ভূঁইয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর প্রবাসী লতিফের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর লতিফ আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে আমার স্বজনদের কাতারে পাঠানোর কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেন। সেই টাকা নিয়ে লতিফ নিজেই কাতারে চলে যান এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আজ আমি আমার পাওনা টাকা নিতে এবং স্ত্রীর মর্যাদা আদায় করতে এখানে এসেছি।’

বিয়ের সাক্ষী মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘লতিফ গাজীপুর কাজি অফিসে গিয়ে লিপিকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের বিয়ের পর লতিফের সঙ্গে আমি লিপিদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তবে টাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে লতিফ ভূঁইয়া মোবাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। তিনি আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য একটি মহলের ইশারায় এখানে এসেছেন। শুধু তাই নয়, নিকাহনামায় আমার যেই স্বাক্ষর রয়েছে, সেটিও আমার স্বাক্ষর না। খুব দ্রুত আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার চাইব।’

ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারী আমাকে কিছুই জানায়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে ওই নারী যদি আমাকে লিখিতভাবে জানায়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধানের চেষ্টা করব।’

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে নারীর অবস্থান

তারিখ : ১১:৪০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

তিতাস প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে স্ত্রীর মর্যাদা এবং পাওনা টাকার দাবিতে মারজানা আক্তার লিপি (৩৫) নামে এক নারী কাতারপ্রবাসী আ. লতিফ ভূঁইয়ার (৪৫) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নারী ১৫ লাখ ৩৭ হাজার পাওনা টাকার দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী মারজানা আক্তার লিপি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রসুলপুরের কাঠালিয়া রাজাবাড়ী গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। কাতার প্রবাসী আ. লতিফ ভূঁইয়া উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামের মৃত ধনু ভূঁইয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর প্রবাসী লতিফের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর লতিফ আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে আমার স্বজনদের কাতারে পাঠানোর কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেন। সেই টাকা নিয়ে লতিফ নিজেই কাতারে চলে যান এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আজ আমি আমার পাওনা টাকা নিতে এবং স্ত্রীর মর্যাদা আদায় করতে এখানে এসেছি।’

বিয়ের সাক্ষী মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘লতিফ গাজীপুর কাজি অফিসে গিয়ে লিপিকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের বিয়ের পর লতিফের সঙ্গে আমি লিপিদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তবে টাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে লতিফ ভূঁইয়া মোবাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। তিনি আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য একটি মহলের ইশারায় এখানে এসেছেন। শুধু তাই নয়, নিকাহনামায় আমার যেই স্বাক্ষর রয়েছে, সেটিও আমার স্বাক্ষর না। খুব দ্রুত আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার চাইব।’

ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারী আমাকে কিছুই জানায়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমি বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে ওই নারী যদি আমাকে লিখিতভাবে জানায়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধানের চেষ্টা করব।’