জহিরুল হক বাবু।।
টানা ২০ বছর কারাভোগ করার পর কুমিল্লা কারাগার থেকে ৩ আসামীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ঐ তিনজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিল।
সোমবার (৩০ জুন) কুমিল্লা কারাগার থেকে তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি দেয়া হয়।
কারাগার সূত্র জানায়, কারাবিধি ১ম খণ্ডের ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামি যদি টানা ২০ বছর কারাভোগ করে, এবং তার বিরুদ্ধে নতুন কোনো অভিযোগ না থাকে, আচরণ সন্তোষজনক হয়, মামলার প্রকৃতিও সহনীয় হয়—তাহলে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় তাকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এই বিধান অনুসরণ করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৩ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুরুষ কয়েদি (নং-৯৩৮০/এ) জহিরুল ইসলাম এবং দুইজন নারী কয়েদি (নং-৮১৬২/এ) আয়েশা আক্তার ও (নং-৬৫২৪/এ) নারগিস আক্তার।
কারা সূত্র আরও জানায়, ২০ বছর সাজা পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট বন্দির তথ্য তিন মাস আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয় যে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করে, তার ভিত্তিতে এই তিন বন্দির মুক্তির আদেশ কার্যকর করা হয়।
এদিকে কারাগারকে শুধুমাত্র একটি শাস্তির জায়গা না রেখে সংশোধনাগারে রূপান্তরের লক্ষ্যে বন্দিদের জন্য গৃহীত কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ইতিবাচক ফল আনছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত নারী কয়েদি নারগিস আক্তার কারাগারে অবস্থানকালে নকশীকাঁথা সেলাই ও সুই-সুতা দিয়ে ফুল তৈরির কাজ করে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৭৩ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন। অপর নারী কয়েদি আয়েশা আক্তার সঞ্চয় করেন ৯৮ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগ ও সঞ্চিত অর্থ তাদের সমাজে পুনর্বাসন ও নতুন জীবনের সূচনা করতে সহায়ক হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page