কুবি প্রতিনিধি।।
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযথ মর্যাদার সাথে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে র্যালি, কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় র্যালির মাধ্যমে এই দিবসটির উদযাপন শুরু হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে সায়েন্স ফ্যাকাল্টি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্ত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে কেক কাটা, মুক্তমঞ্চের পাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স রুমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়।
এরপর দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর রুমে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পাঠ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলচনা সভাটি শুরু হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নাসিম আখতার বলেন, ‘শেখ রাসেলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, চেতনা ও দায়িত্ববোধ ছিলো। নব প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, চেতনা ও দায়িত্ববোধ থাকলে তারা খুব সহজেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে। শেখ রাসেলর স্বভাব ছিলো বন্ধুসুলভ। শেখ রাসেলের কাজের মধ্যে ছিলো ইতিবাচকতা। দেশে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে পড়লে দেশের উন্নয়ন হবে। এজন্য আমি শিশুদের ইতিবাচক কাজের দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর শিশু শেখ রাসেলকেও নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ঘাতকরা। শেখ রাসেলের মধ্যে ছিলো এক মহৎ আদর্শ। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে শোষিত মানুষের নেতা হতেন।’
শেখ রাসেল দিবস- ২০২৩ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্ল্যাহ আলোচনা সভায় উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদুল হাসান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা: হাবিবুর রহমান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো: আবু বকর ছিদ্দিক, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর হাসেনা বেগম সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page