কুসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়

গোলাম কিবরিয়া, স্টাফ রিপোর্টার কুমিল্লা।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতিটি ভোট কক্ষে (ভোটার বুথের গোপন স্থান ছাড়া) একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। যাতে সেখানে কোনো অনিয়ম হলে পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’

ইসি মো. আলমগীর জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তখন বা তার আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা থাকবে। ভোট গণনা হয়ে রেজাল্ট ঘোষণার পর ক্যামেরা অপসারণ করা হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএম কাস্টমাইজ ও ভোট গণনার সময় প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিটি স্তরে রাখতে হবে। এটা আমাদের আইনেই আছে।’

কুসিক নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আজ থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আগামী ১৫ মে থেকে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার।

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও সকল প্রকার শোডাউন বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কুসিক নির্বাচনের সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কুসহ ১৬৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। রাতে এ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (পরিচালনা) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত মেয়র পদে চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন—মনিরুল হক সাক্কু, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রাশেদুল ইসলাম ও কামরুল আহসান বাবুল। তাঁদের মধ্যে কামরুল আহসান বাবুল মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী।

এ ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য ১৩৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৩০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান তিনি।

সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত বিভিন্ন টহল ও চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে ২৩৭টি মোটরসাইকেল আটক করে ৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে, বাছাই ১৯ মে, আপিল ২০ থেকে ২২ মে, আপিল নিষ্পত্তি ২৩ থেকে ২৫ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page