
কুবি প্রতিনিধি।।
টিকা নিতে গিয়ে টিকাকর্মীর হেনস্তার শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সারাফাত সিজান। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। টিকা কর্মীর নাম সাব্বির হোসেন৷ টিকা কার্ডে টিকার নাম সম্বলিত সিল না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেন তিনি৷
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সারাফাত সিজান জানান, ‘টিকা গ্রহণের পর টিকা কার্ডে কোন ধরণের সীল ছিলো না। শুধু ইংরেজিতে m লেখা হয়েছে৷ এ বিষয়টা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য দায়িত্বরত টিকাকর্মী সাব্বিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন এবং এক পর্যায়ে মারতে উদ্যত হয়। এমনকি বিষয়টা দেখেও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা চুপ ছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, শুধু আমার সাথে নয় লাইনে দাড়াঁনো অনেকের সাথেই সাব্বির হোসেন দুর্ব্যবহার করছেন। কিন্তু সবাই বিষয়টা নিয়ে চুপ থাকেন। আমি তাকে জিজ্ঞাস করি ‘ভাই আমার কার্ডে সীল মারা হয়নি। সীল কি না থাকলেও চলবে? এতেই সাব্বির আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে ওই শিক্ষার্থী আমাকে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। আমি আজ অফিসেই ছিলাম।
আমি এখন পর্যন্ত এমন কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে এ ধরনের দুর্ব্যবহার করার অধিকার ওনাদের নাই। শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি থেকে তেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা এমনটা করে থাকেন আমরা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে একটা ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সাব্বির হোসেনসহ অনেকের বিরুদ্ধে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে৷ এমনকি তাদের নারী টিকা কর্মীদের বিরুদ্ধেও টিকা প্রত্যাশী সাধারণ জনগণের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। পূর্বে টিকা নেওয়া অনেককেই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে।