০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: কুমিল্লায় প্রেস সচিব কুমিল্লায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার আহত প্রবাসী সেলিমের দেশে ফেরার টিকিট দিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার

দেবিদ্বারের মনঘাটা-ব্রাহ্মনখাড়া সড়ক; স্বাধীনতার ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ?

  • তারিখ : ১০:২৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • 47

মো.জাকির হোসেন।।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মনঘাটা,নোয়াবপুর,ব্রাহ্মনখড়া। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরের এই গ্রামগুলোতে যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র সড়কটিতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে এই গ্রামগুলো এবং আশপাশের অন্যান্য বেশ কিছু গ্রামের হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন রোদ—বৃষ্টি—বর্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদরটির অবস্থান কুমিল্লা—সিলেট মহাসড়কের কোল ঘেষে হলেও অন্য একটি অংশ ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশজুড়ে। আর এই স্থানটিতেই রয়েছে বরকামতা ইউনিয়ন। যার অংশজুড়ে রয়েছে মনঘাটা, নোয়াবপুর, ব্রাহ্মনখাড়াসহ আশপাশের অন্যান্য গ্রাম।

কৃষি নির্ভর এই গ্রামগুলোতে রয়েছে শত শত কৃষক। নিজেদের ভাগ্যের সাথে দেশের উন্নতির লক্ষ্যে দিন—রাত পরিশ্রম করলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় তারা কাঙ্খিত সুফল যেমন পাচ্ছে না,তেমনি এসব এলাকার অন্যান্য শ্রেনী—পেশাসহ শত শত শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা—যাওয়াছাড়াও রোগীদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সরেজমিন মনঘাটার ফরিদ, আয়েত আলী, আশিষ, সুশিল, ব্রাহমনখাড়ার শহিদুল ইসলাম, কবির হোসেন,ফারুকসহ অনেক চাষী এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের এই এলাকাটি যেমন কৃষি নির্ভর,তেমনি দেশের অন্যতম বৃহৎ নিমসার সব্জি বাজারটিও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।

এঅবস্থায় একদিকে সরু অন্যদিকে সড়কটি মাটির হওয়ায় মালামাল নিয়ে বাজারজাত করণের আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে কাছাকাছি এলাকায় ভালো মানের স্কুল—কলেজ না থাকায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটতে হয় দুরবর্তী স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

কিন্তু সড়কটির অবস্থা বেহাল থাকায় যানবাহন চলাচলে যেমন অসুবিধা তেমনি অতিরিক্ত টাকায় গন্তব্যে আসা—যাওয়া গ্রামের অপেক্ষাকৃত কৃষক পরিবারের সন্তানদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও সড়ক ব্যবস্থার বেহাল হওয়ার কারণে মুমুর্ষূ রোগীদের বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমেই যেখানে চলাচলে দুর্ভোগ,সেখানে বর্ষায় এই সড়কটিতে চলাচল একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

এঅবস্থায় স্বাধীনতার পর জাতীয় ও স্থানীয় কমপক্ষে দু’ডজন নির্বাচন হয়ে গেলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্য কারোরই নজর পড়েনি এই সড়কটির উপর। তবে,এসকল গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত অনেক লোকজন বিভিন্ন সময়ে এমপি,উপজেলা বা ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বারের কাছে সড়কটির সংস্কারের সহযোগীতা চাইলেও কার্যতঃ বছরের পর বছর নিরাশ হয়েছে এই এলাকার লোকজন।

ব্রাহ্মনখাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাজুল ইসলাম ও শাহজাহান মাষ্টার বলেন, মনঘাটা—ব্রাহ্মনখাড়া এবং ব্রাহ্মনখাড়া—প্রেমু দুটি সড়কই স্বাধীনতার পর সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেটে কোনরকমে চলাফেরা করতে পারলেও বর্ষায় এই এলাকার লোকজন এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পরে। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহির হন না।

বিষয়টি জানতে চাইলে বরকামতা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সরকারী বরাদ্দ অপ্রকুলতার কথা বলে জানান, আগামীতে বরাদ্দ পেলে ইনশাল্লাহ সড়কটির সংস্কার করবো।

error: Content is protected !!

দেবিদ্বারের মনঘাটা-ব্রাহ্মনখাড়া সড়ক; স্বাধীনতার ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ?

তারিখ : ১০:২৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

মো.জাকির হোসেন।।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মনঘাটা,নোয়াবপুর,ব্রাহ্মনখড়া। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরের এই গ্রামগুলোতে যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র সড়কটিতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে এই গ্রামগুলো এবং আশপাশের অন্যান্য বেশ কিছু গ্রামের হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন রোদ—বৃষ্টি—বর্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

জেলার দেবিদ্বার উপজেলা সদরটির অবস্থান কুমিল্লা—সিলেট মহাসড়কের কোল ঘেষে হলেও অন্য একটি অংশ ঢাকা—চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশজুড়ে। আর এই স্থানটিতেই রয়েছে বরকামতা ইউনিয়ন। যার অংশজুড়ে রয়েছে মনঘাটা, নোয়াবপুর, ব্রাহ্মনখাড়াসহ আশপাশের অন্যান্য গ্রাম।

কৃষি নির্ভর এই গ্রামগুলোতে রয়েছে শত শত কৃষক। নিজেদের ভাগ্যের সাথে দেশের উন্নতির লক্ষ্যে দিন—রাত পরিশ্রম করলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় তারা কাঙ্খিত সুফল যেমন পাচ্ছে না,তেমনি এসব এলাকার অন্যান্য শ্রেনী—পেশাসহ শত শত শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা—যাওয়াছাড়াও রোগীদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সরেজমিন মনঘাটার ফরিদ, আয়েত আলী, আশিষ, সুশিল, ব্রাহমনখাড়ার শহিদুল ইসলাম, কবির হোসেন,ফারুকসহ অনেক চাষী এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের এই এলাকাটি যেমন কৃষি নির্ভর,তেমনি দেশের অন্যতম বৃহৎ নিমসার সব্জি বাজারটিও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।

এঅবস্থায় একদিকে সরু অন্যদিকে সড়কটি মাটির হওয়ায় মালামাল নিয়ে বাজারজাত করণের আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে কাছাকাছি এলাকায় ভালো মানের স্কুল—কলেজ না থাকায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটতে হয় দুরবর্তী স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

কিন্তু সড়কটির অবস্থা বেহাল থাকায় যানবাহন চলাচলে যেমন অসুবিধা তেমনি অতিরিক্ত টাকায় গন্তব্যে আসা—যাওয়া গ্রামের অপেক্ষাকৃত কৃষক পরিবারের সন্তানদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও সড়ক ব্যবস্থার বেহাল হওয়ার কারণে মুমুর্ষূ রোগীদের বহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমেই যেখানে চলাচলে দুর্ভোগ,সেখানে বর্ষায় এই সড়কটিতে চলাচল একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

এঅবস্থায় স্বাধীনতার পর জাতীয় ও স্থানীয় কমপক্ষে দু’ডজন নির্বাচন হয়ে গেলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সংসদ সদস্য কারোরই নজর পড়েনি এই সড়কটির উপর। তবে,এসকল গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত অনেক লোকজন বিভিন্ন সময়ে এমপি,উপজেলা বা ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বারের কাছে সড়কটির সংস্কারের সহযোগীতা চাইলেও কার্যতঃ বছরের পর বছর নিরাশ হয়েছে এই এলাকার লোকজন।

ব্রাহ্মনখাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাজুল ইসলাম ও শাহজাহান মাষ্টার বলেন, মনঘাটা—ব্রাহ্মনখাড়া এবং ব্রাহ্মনখাড়া—প্রেমু দুটি সড়কই স্বাধীনতার পর সংস্কারবিহীন পড়ে আছে। শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেটে কোনরকমে চলাফেরা করতে পারলেও বর্ষায় এই এলাকার লোকজন এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পরে। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহির হন না।

বিষয়টি জানতে চাইলে বরকামতা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সরকারী বরাদ্দ অপ্রকুলতার কথা বলে জানান, আগামীতে বরাদ্দ পেলে ইনশাল্লাহ সড়কটির সংস্কার করবো।