০১:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ায় শিশুদের হাতে বাইসাইকেল ও কোরআন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি- এম আউয়াল খান মুরাদনগরে সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান আজ থেকে কুবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে দুইতলা বাস কুমিল্লায় ধর্মীয় উত্তেজনার পর ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন, সেনা টহলও চলছে কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে সীমান্ত থেকে ২৬ লাখ টাকার বাজি আটক চৌদ্দগ্রামে জামমুড়া-জামপুর যুব ও ক্রীড়া সংঘের মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত আজ আড়াইবাড়ী দরবার শরীফ কুমিল্লার বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিল কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে কুকুর লেলিয়ে অমানবিক নির্যাতন, ৩ জন আটক কুমিল্লায় স্বামীর নিষেধে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে না দেওয়ায় স্ত্রীর গলায় ফাঁস

প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও হয়নি কুবির ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর

  • তারিখ : ১২:১৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 124

বি এম ফয়সাল, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ও শিক্ষা বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও তত্ত্বাবধান এবং সার্বিক কল্যাণে কাজ করে থাকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়। তবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা দপ্তর কিংবা বরাদ্দ কোনোটা নেই। আইনে নির্ধারিত কাজ উল্লেখ নেই। নেই নির্ধারিত কোনো কক্ষ। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য নেই কোনো বিশেষজ্ঞ।

প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দপ্তর বিহীন চলছে এ কার্যালয়। এমন অনেক অপূর্ণতা নিয়েই টিকে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও জানেন না তাদের কাজ। শিক্ষার্থীরাও জানেন না কাউন্সেলিং বা পরামর্শের জন্য কার কাছে যাবেন। এ যেন ‘ঢাল-তলোয়ারবিহীন’ এক কার্যকর।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বছরের পর বছর দপ্তর ছাড়াই চলছে এ কার্যালয়। বর্তমান ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহবুবের নিজ বিভাগ থেকে বরাদ্দকৃত কক্ষেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়া কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য সতর্কতামূলক কোনো সভা-সেমিনারের আয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টাদের সাথে নেই কোনো আলোচনা সভা।

এতে শিক্ষার্থীদের কি ধরনের কাউন্সেলিং প্রয়োজন তা জানতেও পারছেন না। এদিকে এ দপ্তরের মূল কাজ শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা হলেও নেই আলাদা কোনো বিশেষজ্ঞ। ফলে শিক্ষার্থীরাও জানেন না যে, কাউন্সেলিং এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি দপ্তর রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ঢাল-তলোয়ারবিহীন যুদ্ধ করার মতোই এ দপ্তরের বর্তমান অবস্থা।

ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, দপ্তর না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের ছাত্র পরামর্শকদের সাথে বসতে পারছি না। জানতে পারছি না শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-পরামর্শ কিংবা কি ধরনের কাউন্সেলিং করার প্রয়োজন। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সিগনেচার কিংবা গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হলে কোথায় আসবে তা নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকে শিক্ষার্থীরা।

দপ্তর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট কিংবা অর্থ বরাদ্দ নেই। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় এক বছরে শিক্ষার্থীর জন্য এ দপ্তর থেকে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। এ দপ্তরকে ফুল ফাংশনাল করতে পারলে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা সহজ হবে। আমার কক্ষে দুইজনের বেশি বসার সুযোগ নেই। দপ্তরের জন্য প্রশাসনের কাছে চাহিদা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে উত্তরে বলেন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একই কক্ষে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ডকুমেন্টেশনে তৈরি জটিলতা তৈরি হয় বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ দপ্তরের পরিচালক উপাচার্যের নিয়ন্ত্রণে থেকে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ও শিক্ষা বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও তত্ত্বাবধান এবং সার্বিক কল্যাণে কাজ করবে। আর অন্যান্য দায়িত্ব ও ক্ষমতা সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে নির্ধারণ হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এ পর্যন্ত কোনো সিন্ডিকেটে এ কার্যালয়ের দায়িত্ব ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানা যায়।

লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসান অন্তর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য এমন একটি দপ্তর রয়েছে তা আমার মতো অনেকেরই অজানা। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার মতো কোনো সভা-সেমিনার আয়োজন নেই। দপ্তর না থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কিংবা পরামর্শ জানাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরাও মানসিক সমস্যায় ভুগছে। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার মতো বিশেষজ্ঞ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত এ বিষয়গুলো অবহেলা না করে গুরুত্বের সাথে দেখা।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি সভাপতি সাদিয়া আফরিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে নানা একাডেমিক সমস্যা, প্রশাসনিক জটিলতা কিংবা ব্যক্তিগত দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আশ্রয় হয়ে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের যখন প্রয়োজন হয় বিচ্ছিন্ন ভাবে খুঁজতে হয়। শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত আলোচনা করা, তাদের সমস্যাগুলো শোনা, যেকোনো অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈঠক এর ব্যবস্থা করার জন্য নিজস্ব দপ্তর থাকা আবশ্যক।

এ বিষয়ে জানতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এ দপ্তরে শূন্য পদ ছিল আমি এসে নিয়োগ দিয়েছি।আগে যেভাবে ছিল এখনও এভাবে চলছে। কোনো কিছু পরিবর্তন করেনি। দপ্তর প্রধান থেকে আমরা এ বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি দিলে আমরা আলোচনা করে দেখবো।

error: Content is protected !!

প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও হয়নি কুবির ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর

তারিখ : ১২:১৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বি এম ফয়সাল, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ও শিক্ষা বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও তত্ত্বাবধান এবং সার্বিক কল্যাণে কাজ করে থাকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়। তবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা দপ্তর কিংবা বরাদ্দ কোনোটা নেই। আইনে নির্ধারিত কাজ উল্লেখ নেই। নেই নির্ধারিত কোনো কক্ষ। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য নেই কোনো বিশেষজ্ঞ।

প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দপ্তর বিহীন চলছে এ কার্যালয়। এমন অনেক অপূর্ণতা নিয়েই টিকে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও জানেন না তাদের কাজ। শিক্ষার্থীরাও জানেন না কাউন্সেলিং বা পরামর্শের জন্য কার কাছে যাবেন। এ যেন ‘ঢাল-তলোয়ারবিহীন’ এক কার্যকর।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বছরের পর বছর দপ্তর ছাড়াই চলছে এ কার্যালয়। বর্তমান ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহবুবের নিজ বিভাগ থেকে বরাদ্দকৃত কক্ষেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়া কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য সতর্কতামূলক কোনো সভা-সেমিনারের আয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টাদের সাথে নেই কোনো আলোচনা সভা।

এতে শিক্ষার্থীদের কি ধরনের কাউন্সেলিং প্রয়োজন তা জানতেও পারছেন না। এদিকে এ দপ্তরের মূল কাজ শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা হলেও নেই আলাদা কোনো বিশেষজ্ঞ। ফলে শিক্ষার্থীরাও জানেন না যে, কাউন্সেলিং এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি দপ্তর রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ঢাল-তলোয়ারবিহীন যুদ্ধ করার মতোই এ দপ্তরের বর্তমান অবস্থা।

ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, দপ্তর না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের ছাত্র পরামর্শকদের সাথে বসতে পারছি না। জানতে পারছি না শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-পরামর্শ কিংবা কি ধরনের কাউন্সেলিং করার প্রয়োজন। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সিগনেচার কিংবা গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হলে কোথায় আসবে তা নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকে শিক্ষার্থীরা।

দপ্তর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট কিংবা অর্থ বরাদ্দ নেই। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় এক বছরে শিক্ষার্থীর জন্য এ দপ্তর থেকে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। এ দপ্তরকে ফুল ফাংশনাল করতে পারলে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা সহজ হবে। আমার কক্ষে দুইজনের বেশি বসার সুযোগ নেই। দপ্তরের জন্য প্রশাসনের কাছে চাহিদা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে উত্তরে বলেন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একই কক্ষে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ডকুমেন্টেশনে তৈরি জটিলতা তৈরি হয় বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ দপ্তরের পরিচালক উপাচার্যের নিয়ন্ত্রণে থেকে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ও শিক্ষা বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও তত্ত্বাবধান এবং সার্বিক কল্যাণে কাজ করবে। আর অন্যান্য দায়িত্ব ও ক্ষমতা সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে নির্ধারণ হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এ পর্যন্ত কোনো সিন্ডিকেটে এ কার্যালয়ের দায়িত্ব ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানা যায়।

লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসান অন্তর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য এমন একটি দপ্তর রয়েছে তা আমার মতো অনেকেরই অজানা। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার মতো কোনো সভা-সেমিনার আয়োজন নেই। দপ্তর না থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কিংবা পরামর্শ জানাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরাও মানসিক সমস্যায় ভুগছে। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার মতো বিশেষজ্ঞ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত এ বিষয়গুলো অবহেলা না করে গুরুত্বের সাথে দেখা।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি সভাপতি সাদিয়া আফরিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে নানা একাডেমিক সমস্যা, প্রশাসনিক জটিলতা কিংবা ব্যক্তিগত দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আশ্রয় হয়ে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের যখন প্রয়োজন হয় বিচ্ছিন্ন ভাবে খুঁজতে হয়। শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত আলোচনা করা, তাদের সমস্যাগুলো শোনা, যেকোনো অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈঠক এর ব্যবস্থা করার জন্য নিজস্ব দপ্তর থাকা আবশ্যক।

এ বিষয়ে জানতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এ দপ্তরে শূন্য পদ ছিল আমি এসে নিয়োগ দিয়েছি।আগে যেভাবে ছিল এখনও এভাবে চলছে। কোনো কিছু পরিবর্তন করেনি। দপ্তর প্রধান থেকে আমরা এ বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি দিলে আমরা আলোচনা করে দেখবো।