নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের বলেছেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এ দেশের জনগণ থাকবে, তত দিনই বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
নিপীড়িত- নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীও জাতীয় শিশু দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ,এতিম শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা,এতিম শিশুদের পোষাক ও খাবার বিতরণ,আলোচনা সভা ও বাদ জুম্মা শিক্ষাবোর্ড জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া।বোর্ড ক্যাম্পাস আলোকসজ্জিত এবং মুক্তি যোদ্ধার কর্ণার সকলের জন্য উন্মুক্ত। আলোচনা সভা শুরুর আগে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কুমিল্লা নগর উদ্যান অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পূস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে দশটায় কুমিল্লা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস’ উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং উপ-সচিব (প্রশাসন) একেএম সাহাবউদ্দিন সঞ্চালনায় বোর্ডের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ বলেন-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।বাবা-মা তাকে খোকা বলে ডাকতেন। খোকার শৈশবকাল কাটে টুঙ্গিপাড়ায়। ১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরে তিনি স্থানীয় মিশনারী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে তার একটি চোখ কলকাতায় অপারেশন করা হয় এবং চক্ষুরোগের কারণে তার লেখাপড়ার সাময়িক বিরতি ঘটে। ১৯৩৭ সালে চক্ষুরোগে চার বছর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার পর শেখ মুজিব পুনরায় স্কুলে ভর্তি হন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (হি: ও নি:) মোহাম্মদ ছানাউল্যাহ,কর্মচারী সমিতির যুন্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সাহাব উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহিদুল হক, উপসচিব (একাডেমিক) মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া, সহকারী পোগ্রামার ও (একান্ত সচিব) সুমন রায়সহ বোর্ডের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী।এদিগে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ অতিথিশালায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা কর্মচারীগনের এ দিনকে উদযাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম,শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারীর পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,সহ সভাপতি আব্দুল রব,সাধারন সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন,কোষাদক্ষ মোঃ নাইম হোসেন জনি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page