
বরুড়া প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বরুড়া পৌরসদর বাজার নামে ইজারা কামে নাই কিন্তুু ইজারাদার কাচাঁ বাজার নতুন গলি সড়ক দখল করে অবৈধ দোকান বসিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দোকানি থেকে,মাছ বাজার, সহ পুরো বাজারের বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাতে বিভিন্ন জায়গা সমূহতে দোকান বসিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে, কিন্তু সরকারি নিতিমালায় লেখা নেই সড়ক দখল করে দোকান বসিয়ে ইজারাদার টাকা আদায় করবে। সরকারি সড়ক দখল করে দোকান বসিয়ে জায়গা ফুট হিসেবে বিক্রি করার কারো এখতিয়ার নেই।তাহলে তারা কিভাবে সড়ক দখল করে দোকান বসাচ্ছে। এরা পুরো বাজারে প্রভাব খাটিয়ে সকল দোকান পাট, ফুটপাতের দোকান, যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করে,চাঁদা না দিলে খারাপ আচরন থেকে শুরু করে গায়ে হাত তুলার খবর পাই।
সরেজমিনে বরুড়া বাজার ঘুরে দেখা যায় বরুড়া দৈনিক কাচাঁ বাজার রয়েছে, দৈনিক বাজারে টিনসেড দিয়ে কাঁচা বাজার বসার জায়গা, যেখানে দোকান থাকার কথা সেখানে নেই দৈনিক বাজারে জায়গা কম থাকায় মাছ বাজার রোড নতুন গলিতে বরুড়া-আড্ডা সড়কের মাথা থেকে শুরু করে মাছ বাজার পর্যন্ত দুই পাশে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকান বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জানা যায় বরুড়া মাছ বাজার রোডে প্রতিদিন এই সড়ক দখল করে রাখার কারনে সাধারণ জনগন ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারে না ভোগান্তিতে পড়তে হয়,সবসময় এই সড়কটিতে যানযট লেগে থাকে।কাঁচা তরকারির দোকানের জন্য বাজারের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না।কাঁচা বাজারে তরকারি দোকান দিতে একটি ভিটি নিতে ইজারাদারকে ১৫০০০/২০০০০ টাকা দিতে হয়,তাহলে তারা সড়কের পাশে দোকান বসানোর জন্য জায়গা দেয়।দোকান বসানোর পর দৈনিক ৫০/১০০ টাকা খাজনা দিতে হয়।এই কি বরুড়া বাজারে ইজারাদার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আদায় করছে।
বরুড়া বাজার ইজারা নোটিশে কোথাও লেখা নেই সড়ক দখল করে অবৈধ দোকান বসানোর অনুমতি দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। দোকান বসানোর নাম করে চড়া মূল্যে দোকান মিলছে।এই যেন তরকারি সবজি ব্যবসায় দাম চড়া হচ্ছে। তাই বাজারে অনেকে ক্ষতি পোসাতে সবজির দাম বৃদ্ধি করে দেয়।
এই বিষয়ে একজন ভুক্তভুগী জানান বরুড়া বাজারে ইজারাদার ক্ষমতা দেখিয়ে দোকান থেকে অধিক মুনাফা আদায় করছে, দোকান বসাতে প্রতি দোকান ১৫০০০/২০০০০ টাকা দিতে হয়,দৈনিক খাজনা দিতে হয়,সারাদিন দোকানে ব্যবসা করলে ৫০০/৬০০ টাকা লাভ হলে খাজনা বিভিন্ন চাঁদা দিতে হয় ২৫০/৩০০ টাকা আর কত টাকা থাকে। এই বাজারে ব্যবসা করা খুবই কষ্ঠকর।
এই বিষয়ে ইজারাদার কর্তৃপক্ষেী সাথে কথা বলতে চাইলে কথা বলতে চায় নি,এই বিষয় বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই বিষয়ে বরুড়া পৌরসভার সচিব মোঃ মহসিন খান বলেন সরকারি সড়ক দখল করে দোকান বসানোর ক্ষমতা কারো নেই,বরুড়া কাঁচা বাজারের দোকান গুলো একসাথে করতে মেয়র মহোদয় কাজ করছেন, ওনি বরুড়া মাছ বাজারের পাশে খালি জায়গাটায় একটা পৌর সুপার মার্কেট করবেন, সেখানে কাঁচা তরকারি সবজি দোকান বসানো হবে, সড়ক ও ফুটপাতে কোন প্রকার দোকান দেয়া যাবে না।